
শুষ্ক চুলের সঙ্গে লড়াই করা শীতকালে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। চুলের শুষ্কতা ও নিস্তেজ ভাব দূর করতে এখন থেকেই চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ। শুষ্ক তুলের সঙ্গে মাথার ত্বকে চুলকানি, খুশকি ও অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যাও দেখা যায় শীতকালে। ত্বকের যত্ন নিতে এই সময় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেমন দরকার, তেমনি চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখাও প্রয়োজন।

শীতের শুরুতেই চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য যে যে উপায়গুলি করা একান্তই কাম্য, তা ঘরে বসেই করা সম্ভব। সহজ কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে, সেগুলি মেনে চললেই চুল নিয়ে ঝামেলা পোহাতে আর হবে না। স্নান করে চুল ধোওয়ার অন্তত একঘণ্টা আগে পুষ্টি জোগাতে ও শুষ্কতা দূর করার জন্য আর্গান তেল, অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল অল্প গরম করে চুলে ও মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন।

চুলে ময়েশ্চারাইজার আছে, এমন কন্ডিশনার প্রয়োগ করলে তা ভাল ফল পাবেন। অত্যাধিক চুলে রঙ করা বা ক্ষতিকারক রাসায়নিক-যুক্ত শ্যাম্পু এড়িয়ে চলুন।

শীতকালে গরম জলে স্নান করার পরিবর্তে হালকা গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। ঠান্ডা জলে স্নান করলে সবচেয়ে ভাল কাজ করে। ঠান্ডা জলের কিউটিকলকে বন্ধ করে দেয়। তাতে আর্দ্রতা হ্রাস পায়।

স্নানের পর চুলে ব্লো ড্রাই করা হিট স্টাইলিংয়ের মতই ক্ষতিকর। আর্দ্রতা ও কোমলতা ধরে রাখতে চুল স্বাভাবিক তাপমাত্রায় শুকিয়ে নিন।

শীতকালে ঠান্ডা লাগার ভয়ে অনেকেই স্নান করেন না। স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য ও সিবাম অক্ষত রাখতে সপ্তাহে তিনবার চুল ধোওয়া প্রয়োজন।

শীতকালে চুলের শুষ্কতা দূর করতে ঘরোয়া টোটকা যেমন প্রয়োজন তেমনি ডায়েটেও চাই স্বাস্থ্যকর খাবার। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ওমেগা-৩ এর মত প্রোটিন চুলকে সব দিক থেকে রক্ষা করে।

চুল ধোওয়ার ২০ মিনিট আগে দই ও কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল ব্যবহার করে ঘরে তৈরি হেয়ার মাস্ক লাগাতে পারেন। ভাল ফলাফলের জন্য সপ্তাহে এই মাস্ক একবার বা দুবার প্রয়োগ করতে পারেন।