
সপ্তাহে অন্তত দু’বার ত্বকের যত্নের জন্য কিছুটা সময় বের করাই উচিত। এই পরামর্শ শুধু মহিলাদের ক্ষেত্রেই নয়, পুরুষদের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য। ঘরের বাইরে সূর্যের অতিরিক্ত তাপে ও দূষণ ও ভিন্ন আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসেন, তাঁদের আরও বেশি খেয়াল রাখা প্রয়োজন। দীর্ঘকাল ধরে ত্বকের পরিচর্চা না করলে ও দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের তাপের সংস্পর্শে থাকলে ত্বকের রঙের পরিবর্তন দেখা যায়। এমনকি ত্বকের উপর কালো ছোপও দেখা যায়। পিগমেন্টশনে ঠিক কী কারণে দেখা যায় ও এর থেকে মুক্তি কীভাবে পাবেন, তা জানতে ইচ্ছে করতেই পারে। স্কিন পিগমেন্টেশন সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন তা দেখে নিন একনজরে…
টাইমস নাও সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, বিখ্যাত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. নিবেদিতা ত্বকের পিগমেন্টশন বলতে ত্বকের রঙের পরিবর্তনকে বুঝিয়েছেন। তাঁর কথা অনুযায়ী, স্কিন পিগমেন্টশনের কারণ কী?
ত্বকের পিগমেন্টেশনের কারণ কী?
স্কিন পিগমেন্টেশন বা কালো দাগ ত্বকের সাধারণ সমস্যা। ত্বকে কালো দাগ পড়ে যার ফলে ত্বকের রং হয় অসম। ত্বকের পিগমেন্টেশনের প্রধান কারণ হল মেলানিনের অতিরিক্ত উৎপাদন, ত্বকের রঙের জন্য দায়ী একটি রঞ্জক। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির সংস্পর্শে এলে এটি ত্বকের মেলানোসাইট কোষ দ্বারা উত্পাদিত হয়। এমনকি কিছু বাহ্যিক কারণ বা ওষুধও কালো দাগের কারণ হতে পারে।
ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের উপর কালো ছোপের প্রতিকার পাবেন কীভাবে?
– আপেল সিডার ভিনিগারে পলিফেনলিক যৌগ রয়েছে। যা ত্বকের পিগমেন্টেশন ঠেকাতে সাহায্য করে। এটি যে কেউ প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।
– আলুতে রয়েছে অ্যান্টি-পিগমেন্টেশন বৈশিষ্ট্যে। পিগমেন্টেড এলাকা এবং দাগগুলিতে বেশ ভাল কাজ করতে পারে। এইজন্য একটি আলু অর্ধেক করে কেটে টুকরো করা অংশ জলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখুন। প্রায় ১০ মিনিটের জন্য ত্বকের উপর বৃত্তাকার ভাবে আলুর টুকরোটি আলতো করে ঘষুন। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে মুখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের কালো দাগ থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহে দুই বা তিনবার এই পদ্ধতিটি মেনে চলতে পারেন।