
আবার বেড়েছে গরম। গ্রীষ্মের দাবদাহে তেষ্টা মেটাচ্ছে তরমুজের মতো ফল। আবার অন্যদিকে গরমে ত্বকের দশা খারাপ হচ্ছে। এখানেও ত্বকের দেখভাল করতে পারে তরমুজ। এই গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বককে উজ্জ্বল ও নিখুঁত করে তোলে। ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে তরমুজ। ত্বকে নিমেষের মধ্যে সতেজতা এনে দেয় তরমুজ। বাড়িতে বসে কীভাবে বানাবেন তরমুজের ফেসপ্যাক, দেখে নিন।
তরমুজ ও দইয়ের ফেসপ্যাক: কয়েকটা তরমুজের কুচি নিয়ে চামচ দিয়ে ম্যাশ করে নিন। এর সঙ্গে এক চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাকে এক চামচ মধু মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা হাতে স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুহূর্তের মধ্যে উজ্জ্বল ত্বক পেয়ে যাবেন।
তরমুজ ও শসার ফেসপ্যাক: তরমুজ ও শসা দুটোই হল গ্রীষ্মকালীন ফল। জলে ভরা এই দুই জল ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। তরমুজ ও শসার রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এতে মুলতানি মাটি মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতেই পেয়ে যাবেন সতেজ ও উজ্জ্বল ত্বক। পাশাপাশি মুলতানি মাটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করে দেবে।
তরমুজ ও অ্যালোভেরা জেল: ২ চামচ তরমুজের রসের সঙ্গে ২ চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মসৃণ ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাকে মাচা গ্রিন টি পাউডারও মিশিয়ে নিতে পারেন। এই ফেসপ্যাক ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক ব্রণর সমস্যা কমিয়ে দেবে।
তরমুজের ফেসপ্যাক ব্যবহারের আগে মাথায় রাখুন এসব বিষয়-
যখনই তরমুজের ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন, প্রথমে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এরপর ফেস স্টিম নিন। এতে ওপেন পোরস খুলে যাবে এবং সমস্ত ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাছাড়া তরমুজের পুষ্টিও ত্বকের গভীরে প্রবেশ করবে। তরমুজের ফেসপ্যাক ব্যবহার করার পর পরিষ্কার জল দিয়ে জল ধুয়ে নেবেন। শেষে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে না।