
ফ্রিজ, এসির মতোই আজকাল মানুষের আরেক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস হল ওয়াশিং মেশিন। হাতের কাপর কাচার ঝামেলা নেই। মেশিনে ঢুকিয়ে চালিয়ে দিলেই হল। কাপর কেচে প্রায় শুকনো করে বেরিয়ে আসে। তাতে সময়, শ্রম বাঁচে দুই। এমনকি লন্ড্রিতে কাচতে দেওয়ার খরচ কমেছে। তাই যে যন্ত্র আমাদের জীবন যাপন এত সহজ করে দিয়েছে তার যত্ন নেওয়াও আমাদের কর্তব্য। সময় থাকতে যদি যন্ত্রের দেখভাল না করেন তা হলে সমস্যা কিন্তু আপনার বাড়বে। অচিরেই যন্ত্র খারাপ হলে বাড়বে খরচ। কিন্তু কী কী নিয়ম মেনে চললে ভাল থাকবে ওয়াশিং মেশিনের স্বাস্থ্য? দেখে নিন এক নজরে।
১) ওয়াশিং মেশিনে একগাদা জামাকাপড় ঠাসাঠাসি করে ঢোকাবেন না। বেশি জামাকাপড় জমে গেলে তা দু’বারে কাচুন। পরিমাণ বুঝে জামাকাপড় ঢোকাতে হবে মেশিনে। না হলে মেশিনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেশিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
২) ডিটারজেন্ট ব্যবহারের সময়ে সতর্ক থাকতে হবে। যে পরিমাণ জামাকাপড় মেশিনে দিচ্ছেন সেই বুঝে কাপড় কাচার সাবান ব্যবহার করুন। বেশি সাবান ব্যবহার করা মানেই তা জমে থেকে মেশিনের নিকাশি ব্যবস্থাকে খারাপ করে দিতে পারে।
৪) জামাকাপড় মেশিনে দেওয়ার আগে দেখে নিন টাকা, পয়সা বা ধাতব জিনিস রয়েছে কি না। ধাতুর জিনিস বা ধারালো কিছু মেশিনে ঢোকালে তাড়াতাড়ি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৫) প্রতি বার কাচাকাচির পর ওয়াশিং মেশিনের ভিতরটা ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে। তা না হলে জামাকাপড়ের সুতো, কাচার পরে ময়লা ইত্যাদি জমে থেকে মেশিন খারাপ করে দেবে। ভিনিগার, বেকিং সোডা জলে গুলে মেশিন পরিষ্কার করতে পারেন।
৬) মেশিনের ভিতরে মরচে পড়ছে কি না খেয়াল রাখুন। মরচে ধরলে গরম জলে দু’কাপ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে মেশিনে দিয়ে একবার চালিয়ে নিন। তাতেও মরচে না যায়, তা হলে সেই অংশটি পালটে নেওয়াই ভাল।