Home Cleaning Tips: গুচ্ছ টাকা দিয়ে ফিনাইল কিনতে হবে না, এইভাবে পরিষ্কার করলেই ঘর থাকবে চকচকে

Cleaning Tips: শুধু ফিনাইলেই থেমে গেলে চলবে না, কারণ জীবাণু নিয়ন্ত্রণ ও ঘরকে সতেজ রাখতে আরও অনেক কার্যকর ও প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত কিছু অভ্যাস ও সহজ উপকরণ ব্যবহার করলেই ফিনাইল ছাড়াই ঘর অনেকাংশে জীবাণুমুক্ত রাখা সম্ভব। রইল সেই উপায়।

Home Cleaning Tips: গুচ্ছ টাকা দিয়ে ফিনাইল কিনতে হবে না, এইভাবে পরিষ্কার করলেই ঘর থাকবে চকচকে

Aug 31, 2025 | 1:49 PM

ঘরবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যেমন সৌন্দর্যের জন্য জরুরি, তেমনি স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ মানুষ ঘর মোছার জন্য ফিনাইল ব্যবহার করেন। কিন্তু শুধু ফিনাইলেই থেমে গেলে চলবে না, কারণ জীবাণু নিয়ন্ত্রণ ও ঘরকে সতেজ রাখতে আরও অনেক কার্যকর ও প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত কিছু অভ্যাস ও সহজ উপকরণ ব্যবহার করলেই ফিনাইল ছাড়াই ঘর অনেকাংশে জীবাণুমুক্ত রাখা সম্ভব। রইল সেই উপায়।

১. ভিনিগার ব্যবহার করুন – ভিনিগার বা সিরকা ঘরের অন্যতম প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক। এটি টেবিল, রান্নাঘরের কাউন্টারটপ, জানালার কাঁচ কিংবা বাথরুম পরিষ্কারে ব্যবহার করা যায়। এক বালতি জলে অল্প ভিনেগার মিশিয়ে মেঝে মুছলে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়। ভিনিগার দুর্গন্ধও দূর করে, ফলে ঘরে সতেজ পরিবেশ বজায় থাকে।

২. লেবুর রস ও লবণ – লেবুর অম্লত্ব জীবাণু ধ্বংসে অত্যন্ত কার্যকর। রান্নাঘরের সিঙ্ক, কাটার বোর্ড কিংবা তেলচিটে জায়গা পরিষ্কারে লেবুর রসের জুড়ি নেই। লবণের সঙ্গে মিশিয়ে লেবুর রস ব্যবহার করলে জীবাণুনাশক গুণ আরও বেড়ে যায়। এটি ঘরের দুর্গন্ধ দূর করে সতেজতা এনে দেয়।

৩. বেকিং সোডা – বেকিং সোডা প্রাকৃতিক ক্লিনার ও ডিওডোরাইজার হিসেবে পরিচিত। টয়লেট পরিষ্কার করতে বা বাথরুমের টাইলসে জমে থাকা দাগ দূর করতে ব্যবহার করা যায়। মেঝে বা কার্পেটের দুর্গন্ধ দূর করতেও বেকিং সোডা খুব কার্যকর। এটি জীবাণু প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী ধুলিকণা শোষণ করে নেয়।

৪. নুন-জল – নুন বা লবণ প্রাচীনকাল থেকেই জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক বালতি জলে এক মুঠো নুন গুলে নিয়ে মেঝে মুছলে জীবাণু নষ্ট হয়। রান্নাঘরের সিঙ্ক বা বাথরুমে নুন-জল ছিটিয়ে দিলে দুর্গন্ধও কমে যায়।

৫. নীম পাতা – প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে নিমপাতা অনন্য। জলে নিমপাতা সেদ্ধ করে সেই জল দিয়ে মেঝে মুছলে ঘর জীবাণুমুক্ত থাকে। বিশেষ করে বর্ষাকালে মশা-মাছি ও জীবাণু দূরে রাখতে নিম অত্যন্ত কার্যকর।

৬. হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড – এটি শক্তিশালী জীবাণুনাশক হলেও নিরাপদ। রান্নাঘরের কাউন্টার, বাথরুম বা দরজার হাতল জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহার করা যায়। তবে ব্যবহার শেষে জায়গাটি ভালভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।

৭. বায়ু চলাচল বজায় রাখুন – শুধু পরিষ্কারক ব্যবহার করলেই হবে না, ঘরের ভেতর যথেষ্ট আলো-বাতাস ঢোকানোও জরুরি। প্রতিদিন জানালা খুলে ঘরে প্রাকৃতিক আলো ও বাতাস ঢুকতে দিন। সূর্যের আলো ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং আর্দ্রতা কমিয়ে ফাঙ্গাস জন্মাতে দেয় না।

৮. নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভ্যাস – খাবার টেবিল বা রান্নাঘরে খাওয়ার পরে সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করুন। আবর্জনা রাতে ঘরে ফেলে রাখবেন না। বিছানার চাদর, পর্দা ও কুশন কাভার নিয়মিত ধুয়ে ফেলুন।