
ওজন কমানোর জন্য জিমে যাওয়া এবং সঠিক ডায়েট গ্রহণের পাশাপাশি, অনেকে নানা ঘরোয়া প্রতিকারও মেনে চলে। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে অনেকে সকাল সকাল হালকা গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে পান করেন। লক্ষ্য থাকে ওজন ঝরানো। এছাড়াও, রান্নাঘরে উপস্থিত নানা মশলা ওজন কমানোর জন্য উপকারী। অনেকেই ওজন কমানোর জন্য জিরে জল পান করেন। কেউ আবার মুখে তুলে নেন জোয়ান জল। এ বার প্রশ্ন হল জিরে জল (Jeera Water) নাকি জোয়ান জল (Ajwain Water) কোনটি ওজন কমানোর জন্য বেশি উপকারী?
প্রত্যেকেই নিজের পছন্দ ও প্রয়োজন অনুসারে কোন পানীয় পান করবেন, তা ঠিক করেন। ওজন কমানোর পাশাপাশি, এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি যদি মেনে চলেন গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন যে কেউ। এ বার প্রশ্ন হল জিরে এবং জোয়ান এই দুটির মধ্যে কোনটি ওজন কমাতে সাহায্য করে?
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ কিরণ গুপ্ত বলেন, “ওজন কমাতে জিরে জল খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। একবারে ২ চামচ জিরে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে মাত্র এক-চতুর্থাংশ জোয়ান খাওয়া যেতে পারে। কারণ অতিরিক্ত জিরে খাওয়ার ফলে পেটে তাপ ও অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে। জিরে খেলে সেই সমস্যা মিটে যায়। তাই ওজন কমানোর জন্য সকালে খালি পেটে জিরে জল পান করা যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জিরে জল পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। যা বিভিন্ন ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এটি পান করলে পেট পরিষ্কার হয়, যা গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও, খালি পেটে জিরে জল পান করলে বিপাক ক্রিয়া দ্রুত হয়, যা চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়াকেও ত্বরান্বিত করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জিরে এবং জোয়ান জল বিভিন্ন মানুষের জন্য বিভিন্ন উপায়ে উপকারী। পিরিয়ডের সময় জোয়ান জল পেটের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। তবে গরমে এটি পান করা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ জোয়ান জল পান করলে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে। অন্যদিকে শীতকালে এটি বেশি উপকারী হতে পারে। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা অন্ত্র পরিষ্কার করতে এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সহায়ক। যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তবে এর ফলে অ্যাসিডিটিও হতে পারে। তাই নিজের শারীরিক অবস্থা ও পছন্দ অনুযায়ী যে কেউ জোয়ান বা জিরের জল পান করেই পারেন।