Car Buying Tips: পুরনো গাড়ি কেনার প্ল্যান করছেন? কোন কোন জিনিস না দেখলে পড়বেন বড় বিপদে?

Car Buying Tips: বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকে যা আগেভাগে ভাল করে দেখে নেওয়া জরুরি। নাহলে দেখা গেল কেনার কিছুদিন পর থেকেই একে একে খারাপ হচ্ছে পার্টস। তখন হয়তো তা সারাতে গিয়ে কেনার চেয়ে বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে। তাই পুরনো গাড়ি কিনতে গেলে কী কী জিনিস মাথায় রাখবেন? রইল সেই খুঁটিনাটি।

Car Buying Tips: পুরনো গাড়ি কেনার প্ল্যান করছেন? কোন কোন জিনিস না দেখলে পড়বেন বড় বিপদে?

Jul 29, 2025 | 5:02 PM

নতুন গাড়ি কেনার তুলনায় পুরনো গাড়ি কেনা অনেকটাই সাশ্রয়ী ও সুবিধাজনক হতে পারে। বিশেষ করে সময়ের সঙ্গে কমতে থাকে গাড়ির রিসেল ভ্যালু। সেই ক্ষেত্রে নতুন গাড়ির রিসেল ভ্যালু যতটা দ্রুত কমে, পুরনো গাড়ির রিসেল ভ্যালু কমে অনেক কম হারে। তাই এই ক্ষেত্রে আপনার লস এক অর্থ কম। কিন্তু পুরনো গাড়ি শুধু কিনবো বললেই তো হল না। পুরনো গাড়ি কেনা নতুন গাড়ির চেয়ে অনেক বেশি ঝক্কির। কারণ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকে যা আগেভাগে ভাল করে দেখে নেওয়া জরুরি। নাহলে দেখা গেল কেনার কিছুদিন পর থেকেই একে একে খারাপ হচ্ছে পার্টস। তখন হয়তো তা সারাতে গিয়ে কেনার চেয়ে বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে। তাই পুরনো গাড়ি কিনতে গেলে কী কী জিনিস মাথায় রাখবেন? রইল সেই খুঁটিনাটি।

১। গাড়ির কাগজপত্র (Documents) –

আরসি (RC – রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট): গাড়ির মালিক কে, কখন রেজিস্ট্রেশন হয়েছে—সব তথ্য এতে থাকে।

ইনসুরেন্স পেপার: গাড়ির ইনসুরেন্স এখনও বৈধ কি না এবং কোন ধরণের ইনসুরেন্স থার্ড পার্টি নাকি কম্প্রিহেনসিভ) আছে, তা দেখা জরুরি।

পিইউসি সার্টিফিকেট (Pollution Under Control): বৈধ কি না দেখে নিতে হবে।

Road Tax ও Hypothecation Details: ব্যাঙ্ক লোনে কিনলে সেটা ক্লিয়ার হয়েছে কি না, তা চেক করুন।

আর হ্যাঁ, গাড়ির কাগজপত্রে নাম পরিবর্তন করাতে কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা সেটাও দেখে নেবেন।

২। গাড়ির অবস্থা – গাড়ির বডিতে আঁচড়, ডেন্ট, বা জং রয়েছে কি না ভাল করে দেখুন। কোনও বড় দুর্ঘটনার ইতিহাস থাকলে, গাড়ির ফ্রেম বা চেসিস বাঁকা হয়ে থাকতে পারে। তাও ভালভাবে খতিয়ে দেখা দরকার। রঙে অমিল থাকলে বুঝবেন গাড়ির কিছু অংশ রিপেইন্ট করা হয়েছে। এইসব নিজে যেমন দেখবেন তেমনই যারা এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত এমন কোনও বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে যান। তাঁরা আরও ভাল বোঝে।

৩। ইঞ্জিন ও মেকানিক্যাল কন্ডিশন:

ইঞ্জিন স্টার্ট নিতে কত সময় নিচ্ছে তা খেয়াল করুন। কালো ধোঁয়া, অদ্ভুত শব্দ বা তেলের লিক থাকলে সতর্ক হোন। ক্লাচ, গিয়ার, ব্রেক ঠিকঠাক কাজ করছে কি না পরীক্ষা করুন। এই সব মেকানিক যেমন দেখবে তেমন নিজে টেস্ট ড্রাইভ নিয়ে পরীক্ষা করে নিন।

৪। ওডোমিটার ও কিমি চেক:

গাড়ি কত কিমি চলেছে তা দেখে অনুমান করুন এর ব্যবহার। ওডোমিটার ঘোরানো হয়েছে কি না, তা সন্দেহজনক মনে হলে সার্ভিস হিস্ট্রি দেখে নিশ্চিত হোন।

৫। টায়ার ও ব্যাটারি কন্ডিশন:

টায়ার কতটা পরেছে তা দেখে ভবিষ্যতের খরচ আন্দাজ করুন। মনে রাখবেন বেশিরভাগ অ্যাক্সিডেন্টের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায় টায়ার। টায়ার বেশি খারাপ হলে বা গাড়ির হাইস্পিডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে উচ্চ গতিতে ব্রেক কষলেও ব্রেক ধরে না। সাধারণত তীব্র গরমের সময় ফেটে যাওয়া বা বর্ষায় পিচ্ছিল রাস্তায় এই রিস্ক সবচেয়ে বেশি। ব্যাটারি পুরনো হলে দ্রুত বদলাতে হতে পারে, তাই ব্যাটারির বয়স জেনে নিন। মুখের কথা নয় কাগজ দেখে নিন।

৬। টেস্ট ড্রাইভ:

গাড়ি কেনার আগে অবশ্যই নিজে টেস্ট ড্রাইভ করুন। চালানোর সময় কম্পন, শব্দ বা যে কোনও অস্বাভাবিকতা খেয়াল করুন।

মনে রাখবেন, পুরনো গাড়ি কেনার সময় কেবল দাম দেখে সিদ্ধান্ত নিলে ভুল হবে। সবদিক খতিয়ে দেখে, বিশেষ করে কাগজপত্র ও ইঞ্জিনের অবস্থা যাচাই করে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিন।