Top 8 Tips to Stay Safe: যেকোনও মুহূর্তে ফাটতে পারে এরা! আর সেই সময় আপনি বাড়িতে থাকলে… বাঁচতে চাইলে পড়ুন!

Tips to Remember: টিভির সামনে অধিকাংশ মানুষই বসে থাকেন সপরিবারে। বিস্ফোরণ যাতে না ঘটে, তার জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর টিভি বন্ধ করা আবশ্যিক যাতে যন্ত্রাংশ ঠাণ্ডা হয়ে বিপদের আশঙ্কা কমায়।

Jul 07, 2025 | 2:45 PM

বাবা-মা, স্ত্রী-স্বামী ও সন্তান―সুখের সংসারে সদস্য কিন্তু আরও অনেকে। বর্তমান সময়ে সংসার আসলে সুখের হয় ‘যন্ত্রের’ গুণে। বাড়িতে থাকা ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর যত্ন না নিলে তারাই অযাচিতভাবে ক্ষতি করবে আপনারই। তাই সময় থাকতে নিজের বিপদ আঁচ করাই সমঝদারের কাজ। দেখভালের অভাবে বাড়ির এই ৮ সামগ্রী ফেটে যেতে পারে যখন-তখন, বাঁচতে চাইলে পড়ে নিন…

সিলিন্ডার: রান্নাঘরেই থাকে বাড়ির সবচেয়ে বিপজ্জনক বস্তুটি। গ্যাস সিলিন্ডার। অসতর্কতায় এই সিলিন্ডার ফাটতে পারে যেকোনও মুহূর্তে, গোটা বাড়ি উড়ে যেতে পারে নিমেষে। তাই গ্যাস সিলিন্ডার বাড়িতে ডেলিভারি নেওয়ার সময়ে দেখে নিতে হবে এই নম্বরটি। ধরুন লেখা আছে, B28―মানে বছরের সেকেন্ড কোয়ার্টারের শেষ মাস, অর্থাৎ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত এই সিলিন্ডার ব্যবহার নিরাপদ। তাছাড়া রান্নার পর গ্যাস অফ করে দেওয়া বা কানেকশন চেক করে নেওয়া, এসব তো মাথায় রাখতেই হবে।

ইন্ডাকশন: রান্নাঘরের এই সদস্যও যে বিস্ফারিত হতে পারে, তা হয়তো মাথাতেও আসবে না কারওর। শর্টসার্কিট এড়ানোর জন্য বাড়িতে MCB লাগান। রান্নার পর ইন্ডাকশন মুছে নেওয়া বাধ্যতামূলক, ভিজে যাতে না থাকে। টানা রান্নার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় ব্যবধান রাখতে হবে। প্লাগপয়েন্ট দেখে নিতে হবে প্রত্যেক রান্নার আগে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল―পুরনো হয়ে ফেটে যাওয়ার আগে দেখিয়ে নিতে হবে ইন্ডাকশন, দরকারে নতুন ওভেন কিনতে হবে সত্বর।

ফ্রিজ: সাধের আইসক্রিমহোক বা ফল-সবজি, বুকে আগলে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকে সে। ভুলভাবে ব্যবহার করলে গরম হয়ে ভয়াবহ কাণ্ড ঘটাতে পারে ফ্রিজও। ঘর মোছার সময়ে হাত লেগে যেন ফ্রিজের প্লাগ আলগা না হয়ে যায়। পুরনো ফ্রিজের ভাঙা অংশ সারিয়ে ফেলতে হবে তাড়াতাড়ি। দাহ্য ফোম বা প্লাস্টিক যথাযথ পরিমাণে থাকে ফ্রিজে, তাই সেদিকেও নজর রাখা প্রয়োজন। ফ্রিজে অযথা আওয়াজ হচ্ছে কি না বা অতিরিক্ত ব্যবহারে ফ্রিজের কোনও অংশ গরম হচ্ছে কি না, তাও দেখা আবশ্যক।

মাইক্রোওয়েভ ওভেন: কিনে আনা খাবার গরম করে সহজে, অথচ কেউ ভাল করে দেখেই না যে প্লাগ আলগা! মুহূর্তের অসতর্কতাই কিন্তু বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের দরজায় সেফটি ফিচার থাকলেও আগুন লেগে গেলে সহজেই কার্বন মনোক্সাইড উৎপাদন করে এই যন্ত্র। অতএব, নির্দিষ্ট সময় অন্তর কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেসের পরীক্ষা করানোটা বাধ্যতামূলক।

টিভি: সন্ধ্যায় শুরু। বন্ধ হতে হতে মাঝরাত পেরিয়ে যায়। হ্যাঁ, সকলের সাধের টেলিভিশনের কথাই হচ্ছে এখানে। সিরিয়াল থেকে আইপিএল, সবই দেখাচ্ছেন যিনি―তার স্বাস্থ্যের কথাটাও মাথায় না রাখলেই নয়! হাই ভোল্টেজ, ভুলভাল বিদ্যুৎ লাইন বা ওয়্যারিং, নিম্নমানের ইলেকট্রিক যন্ত্রাংশ ইত্যাদি হতে পারে দুর্ঘটনার কারণ। সব শেষে দেশে তৈরি নকল ও নন ব্র্যান্ডের টেলিভিশন কেনা থেকেও বিরত থাকতে হবে। টিভির সামনে অধিকাংশ মানুষই বসে থাকেন সপরিবারে। বিস্ফোরণ যাতে না ঘটে, তার জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর টিভি বন্ধ করা আবশ্যিক যাতে যন্ত্রাংশ ঠাণ্ডা হয়ে বিপদের আশঙ্কা কমায়।

ইনভার্টার: বাড়িতে বোমা রাখার মতোই ব্যাপার হল এই ইনভার্টার! না না, ভয় দেখানো হচ্ছে না। বরং সাবধান হন। লোডশেডিংয়ের সময় মাথার উপর ফ্যান ঘোরায় যে, তার দেখভালের দায়িত্ব কিন্তু গ্রাহকেরই। বেশি কিছু না―শুধু ওভারচার্জ করা যাবে না। সঠিক পরিমাণে জল রয়েছে কি না দেখতে হবে। ব্যাটারি পুরনো হয়ে গেলে বদলে নিতে হবে। প্লাগপয়েন্ট চেক করতে হবে প্রত্যেকদিন, নিয়ম করে। ব্যবহারের সময় ওভারলোড যাতে না পড়ে ব্যাটারির উপর, খেয়াল রাখতে হবে সেটাও।

এসি: বাড়িতে মান্ধাতা আমলের এসি রয়েছে? সাবধান। এসি ফাটলে উড়ে যেতে পারে ছাদ, দেওয়াল। সেক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে এসির লিক ডিটেক্টর লাগানোর কথা। সাধের এয়ার কন্ডিশনার দীর্ঘক্ষণ চললে লিক হতে পারে সহজেই, ফলত বার্স্ট করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বাড়ির যেকোনও যন্ত্রই টানা ব্যবহার করা যাবে না। ৬মাস অন্তর এসি সার্ভিসিং করতে হবে। ময়লা জমে বাতাস চলাচলের রাস্তা বুজিয়ে দিলে অতিরিক্ত গরম হবে এসি, তখন চাপ সামলাতে না পেরে ফেটে যাওয়াটাই হবে এসির ‘অনলি অপশন’!

স্মার্টফোন: ফোনে একটানা কথা বলা বা ৩ ঘণ্টা ধরে গেম খেলা―স্মার্টফোন বিপদ বাড়ে এভাবেই। চার্জে ফোন গুঁজে ভুললে তো হয়েই গেল! ফোন তো বার্স্ট করে আকছারই। তবে কাছাকাছি মানুষ থাকলে খোয়াতে পারে অঙ্গপ্রত্যঙ্গও। তাই এবার থেকে একটু যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। অরিজিনাল চার্জার ব্যবহার করুন। সবসময় ১০০% চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। গরম ঘরে ফোন ফেলে রাখা যাবে না। আর ফোনের ব্যাটারি ফুলে গেলে তো কথাই নেই, ব্যাটারি না বদলানো পর্যন্ত সেই ফোন ব্যবহার করাই যাবে না।

সর্বশেষে একটাই কথা, এই ৮ সামগ্রী ছাড়াও বাড়িতে বিপদের আরও কারণ থাকতে পারে। শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগা হোক বা সিলিন্ডার বার্স্ট―আশেপাশে আকছারই এমন ঘটনার কথা শোনা যায়। অতএব, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ব্যবহার যেমন সুখের, তেমনই সেইসব সামগ্রীর দেখভাল করাটাও ব্যবহারকারীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

বাবা-মা, স্ত্রী-স্বামী ও সন্তান―সুখের সংসারে সদস্য কিন্তু আরও অনেকে। বর্তমান সময়ে সংসার আসলে সুখের হয় ‘যন্ত্রের’ গুণে। বাড়িতে থাকা ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর যত্ন না নিলে তারাই অযাচিতভাবে ক্ষতি করবে আপনারই। তাই সময় থাকতে নিজের বিপদ আঁচ করাই সমঝদারের কাজ। দেখভালের অভাবে বাড়ির এই ৮ সামগ্রী ফেটে যেতে পারে যখন-তখন, বাঁচতে চাইলে পড়ে নিন…

সিলিন্ডার: রান্নাঘরেই থাকে বাড়ির সবচেয়ে বিপজ্জনক বস্তুটি। গ্যাস সিলিন্ডার। অসতর্কতায় এই সিলিন্ডার ফাটতে পারে যেকোনও মুহূর্তে, গোটা বাড়ি উড়ে যেতে পারে নিমেষে। তাই গ্যাস সিলিন্ডার বাড়িতে ডেলিভারি নেওয়ার সময়ে দেখে নিতে হবে এই নম্বরটি। ধরুন লেখা আছে, B28―মানে বছরের সেকেন্ড কোয়ার্টারের শেষ মাস, অর্থাৎ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত এই সিলিন্ডার ব্যবহার নিরাপদ। তাছাড়া রান্নার পর গ্যাস অফ করে দেওয়া বা কানেকশন চেক করে নেওয়া, এসব তো মাথায় রাখতেই হবে।

ইন্ডাকশন: রান্নাঘরের এই সদস্যও যে বিস্ফারিত হতে পারে, তা হয়তো মাথাতেও আসবে না কারওর। শর্টসার্কিট এড়ানোর জন্য বাড়িতে MCB লাগান। রান্নার পর ইন্ডাকশন মুছে নেওয়া বাধ্যতামূলক, ভিজে যাতে না থাকে। টানা রান্নার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় ব্যবধান রাখতে হবে। প্লাগপয়েন্ট দেখে নিতে হবে প্রত্যেক রান্নার আগে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল―পুরনো হয়ে ফেটে যাওয়ার আগে দেখিয়ে নিতে হবে ইন্ডাকশন, দরকারে নতুন ওভেন কিনতে হবে সত্বর।

ফ্রিজ: সাধের আইসক্রিমহোক বা ফল-সবজি, বুকে আগলে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকে সে। ভুলভাবে ব্যবহার করলে গরম হয়ে ভয়াবহ কাণ্ড ঘটাতে পারে ফ্রিজও। ঘর মোছার সময়ে হাত লেগে যেন ফ্রিজের প্লাগ আলগা না হয়ে যায়। পুরনো ফ্রিজের ভাঙা অংশ সারিয়ে ফেলতে হবে তাড়াতাড়ি। দাহ্য ফোম বা প্লাস্টিক যথাযথ পরিমাণে থাকে ফ্রিজে, তাই সেদিকেও নজর রাখা প্রয়োজন। ফ্রিজে অযথা আওয়াজ হচ্ছে কি না বা অতিরিক্ত ব্যবহারে ফ্রিজের কোনও অংশ গরম হচ্ছে কি না, তাও দেখা আবশ্যক।

মাইক্রোওয়েভ ওভেন: কিনে আনা খাবার গরম করে সহজে, অথচ কেউ ভাল করে দেখেই না যে প্লাগ আলগা! মুহূর্তের অসতর্কতাই কিন্তু বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের দরজায় সেফটি ফিচার থাকলেও আগুন লেগে গেলে সহজেই কার্বন মনোক্সাইড উৎপাদন করে এই যন্ত্র। অতএব, নির্দিষ্ট সময় অন্তর কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেসের পরীক্ষা করানোটা বাধ্যতামূলক।

টিভি: সন্ধ্যায় শুরু। বন্ধ হতে হতে মাঝরাত পেরিয়ে যায়। হ্যাঁ, সকলের সাধের টেলিভিশনের কথাই হচ্ছে এখানে। সিরিয়াল থেকে আইপিএল, সবই দেখাচ্ছেন যিনি―তার স্বাস্থ্যের কথাটাও মাথায় না রাখলেই নয়! হাই ভোল্টেজ, ভুলভাল বিদ্যুৎ লাইন বা ওয়্যারিং, নিম্নমানের ইলেকট্রিক যন্ত্রাংশ ইত্যাদি হতে পারে দুর্ঘটনার কারণ। সব শেষে দেশে তৈরি নকল ও নন ব্র্যান্ডের টেলিভিশন কেনা থেকেও বিরত থাকতে হবে। টিভির সামনে অধিকাংশ মানুষই বসে থাকেন সপরিবারে। বিস্ফোরণ যাতে না ঘটে, তার জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর টিভি বন্ধ করা আবশ্যিক যাতে যন্ত্রাংশ ঠাণ্ডা হয়ে বিপদের আশঙ্কা কমায়।

ইনভার্টার: বাড়িতে বোমা রাখার মতোই ব্যাপার হল এই ইনভার্টার! না না, ভয় দেখানো হচ্ছে না। বরং সাবধান হন। লোডশেডিংয়ের সময় মাথার উপর ফ্যান ঘোরায় যে, তার দেখভালের দায়িত্ব কিন্তু গ্রাহকেরই। বেশি কিছু না―শুধু ওভারচার্জ করা যাবে না। সঠিক পরিমাণে জল রয়েছে কি না দেখতে হবে। ব্যাটারি পুরনো হয়ে গেলে বদলে নিতে হবে। প্লাগপয়েন্ট চেক করতে হবে প্রত্যেকদিন, নিয়ম করে। ব্যবহারের সময় ওভারলোড যাতে না পড়ে ব্যাটারির উপর, খেয়াল রাখতে হবে সেটাও।

এসি: বাড়িতে মান্ধাতা আমলের এসি রয়েছে? সাবধান। এসি ফাটলে উড়ে যেতে পারে ছাদ, দেওয়াল। সেক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে এসির লিক ডিটেক্টর লাগানোর কথা। সাধের এয়ার কন্ডিশনার দীর্ঘক্ষণ চললে লিক হতে পারে সহজেই, ফলত বার্স্ট করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বাড়ির যেকোনও যন্ত্রই টানা ব্যবহার করা যাবে না। ৬মাস অন্তর এসি সার্ভিসিং করতে হবে। ময়লা জমে বাতাস চলাচলের রাস্তা বুজিয়ে দিলে অতিরিক্ত গরম হবে এসি, তখন চাপ সামলাতে না পেরে ফেটে যাওয়াটাই হবে এসির ‘অনলি অপশন’!

স্মার্টফোন: ফোনে একটানা কথা বলা বা ৩ ঘণ্টা ধরে গেম খেলা―স্মার্টফোন বিপদ বাড়ে এভাবেই। চার্জে ফোন গুঁজে ভুললে তো হয়েই গেল! ফোন তো বার্স্ট করে আকছারই। তবে কাছাকাছি মানুষ থাকলে খোয়াতে পারে অঙ্গপ্রত্যঙ্গও। তাই এবার থেকে একটু যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। অরিজিনাল চার্জার ব্যবহার করুন। সবসময় ১০০% চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। গরম ঘরে ফোন ফেলে রাখা যাবে না। আর ফোনের ব্যাটারি ফুলে গেলে তো কথাই নেই, ব্যাটারি না বদলানো পর্যন্ত সেই ফোন ব্যবহার করাই যাবে না।

সর্বশেষে একটাই কথা, এই ৮ সামগ্রী ছাড়াও বাড়িতে বিপদের আরও কারণ থাকতে পারে। শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগা হোক বা সিলিন্ডার বার্স্ট―আশেপাশে আকছারই এমন ঘটনার কথা শোনা যায়। অতএব, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ব্যবহার যেমন সুখের, তেমনই সেইসব সামগ্রীর দেখভাল করাটাও ব্যবহারকারীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।