দেশের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, শীতের মরসুমে পছন্দের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভ্রমণের জন্য মন ছুয়ে যায়। যদি এবছর শীতের কোনও প্ল্যান থাকে তাহলে অসমের কথা ভাবতে পারেন। শীতের আমেজ দারুণ উপভোগ করার জন্য অসম হল অন্যতম সেরা হিলস্টেশন। তাই অসমের কোথায় কোথায় গেলে আপনার মন ভরে যাবে, তার কয়েকটি তালিকা দেওয়া রইল…
মাজুলি- অসমের সেরা ও সুন্দর আইল্যান্ড ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন হল মাজুলি। ব্রহ্মপুত্র নদের কাছেই অবস্থিত ও অসমীয়া ঐতিহ্যে ভরপুর এই জায়গাটিতে এখনও পর্য্ত আদিবাসী গ্রামের প্রাণবন্ত জীবনধারার স্বাদ পাওয়া যায়। এই অসাধারণ সুন্দর দ্বীপে মোট ৬০০টি বৌদ্ধমঠও দেখতে পাবেন।
কামাক্ষ্যা মন্দির- দেশের ৫১টি সতীপীঠের মধ্যে এই মন্দিরটি এন্যতম। তান্ত্রিকদের প্রিয় এই মন্দিরটিতে প্রবেশের পর পরই আপনি নানারকম পৌরাণিক কাহিনিকে আত্মস্থ করতে পারবেন। অম্বুবাচী উত্সবের সময় এই মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। তবে অসমে গেলে এই মন্দির দর্শন অবশ্যই করবেন।
অসম রাজ্য চিড়িয়াখানা-সহ বোটানিক্যাল গার্ডেন- সবুজের মাঝে বন্যপ্রাণী দেখার অভিজ্ঞতা অন্যমাত্রা এনে দেয়। গুয়াহাটি শহরের এই চিড়িয়াখানায় রয়েছে প্রায় ৪৬০টি প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী। ১৯৫৭ সালে নির্মিত এই চিড়িয়াখানায় একশৃঙ্ক গণ্ডার সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়া বাঘ, হাতি, জাগুয়ার, চিতাবাঘ, লামা, জিরাফ, উটপাখিও রয়েছে।
নামরি জাতীয় উদ্যান- হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত, নামেরি জাতীয় উদ্যানে রয়েছে মুগ্ধকর একটি হ্রদ। বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, হাতির জন্য তৃণভূমি, রঙিন ফুলের সম্ভারে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে পারবেন এখানে। পর্যটকদের জন্য এখানে চিতাবাঘ, বাঘ, গণ্ডার, হর্নবিল, হাতি-র মতো বন্যপ্রাণী রয়েছে।
কাকোচাং জলপ্রপাত- সবুজে ঘেরা পাহাড়ের মধ্যে জলপ্রপাতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে হলে কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান থেকে প্রায় ৩০ কিমি ট্রেকিং করে পৌঁছে যেতে পারেন এখানে। পাহাড়ের চূড়া থেকে অবিশ্রান্ত স্বচ্ছ জলপ্রপাত দেখার রোমাঞ্চকর অনুভূতি অন্যমাত্রা এনে দেয়।
আরও পড়ুন: