শীত পড়তে না পড়তেই উত্তুরে হাওয়ার রেশ বোঝা যাচ্ছে স্পষ্ট। তবে যাঁরা এই শীতের মরসুমে দেশের কোথায় যাবেন, তা ঠিক করে উঠতে পারেননি, তাঁদের জন্য একেবারে উপযুক্ত ডেস্টিনেশনের তালিকা দেওয়া রইল। শীতের মরসুমে পরিবারের সঙ্গে বা বন্ধুদের সঙ্গে রোমাঞ্চকর ও মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে চান, তাহলে পাড়ি দিতে পারেন উত্তরাখণ্ডের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ও অফবিট জায়গায়। তুষারে ঢাকা এলাকায় থাকতে চাইলে এই সময়টাই হল সেরা সময়।
পিথোরাগড়
উত্তরাখণ্ডের বৃহত্তম শহরগুলির মধ্যে একটি। যাঁরা তুষারে ঢাকা পাহাড়ের মহিমা ও আকর্ষণকে আত্মস্থ করতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য পিথোরাগড় হল পারফেক্ট ডেস্টিনেশন। এখানে মন্দির থেকে পাহাড়, জঙ্গল থেকে ট্রেকিং ট্রেল ও ক্যাম্পিং সাইট থেকে ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ- সবকিছু দেখতে পাবেন। অসাধারণ সোয়ার ভ্যালি প্রতিটি পর্যটকের জন্য একটি সেরা দর্শনীয় স্থান। এখানে পিথোরাগড় দূর্গ , কৈলাস আশ্রম, আস্কোট বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রয়েছে।
হারসিল
ভগীরথী নদীর তীরে একটি ছোট্ট গ্রাম। প্রায় ৭৫০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত হারসিল গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথেই পড়ে। গঙ্গোত্রীর দিতে যাত্রা করা অনেক পর্যটক ও যাত্রীদের কাছে একটি জনপ্রিয় বিরতির জায়গা। তবে সাধারণ পর্যটকদের কাছে এটি অজানা একটি জায়গা। উত্তরাখণ্ডের সুন্দপ উপত্যকা যদি উপভোগ করতে চান, তাহলে এই গ্রামে একবার ঢুঁ মারতেই হবে। গঙ্গোত্রী জাতীয় উদ্যান দেখতে পাবেন। প্রকৃতির মধ্যে থাকতে ও প্রকৃতিকে আঁকড়ে যাঁরা থাকতে ভালবাসেন, ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফারদের জন্য স্বর্গরাজ্য বলা যায়।
মুন্সিয়ারি
উত্তরাখণ্ডের অন্যতম নৈসর্গিক একটি গন্তব্যস্থল। হিমালয়ের কোলে এই ছোট গ্রামে আপনি ট্রেকিং করতে পারবেন। এই জায়গা থেকে হিমালয়ের স্বর্গীয় দৃশ্যে চাক্ষুস করার সুযোগ পাবেন। অপূর্ব সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে প্রচুর বৈচিত্র্যময় বণ্যপ্রাণীও দেখার সুযোগ রয়েছে।
ছোপটা
কেদারনাথ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের সীমান্তের মধ্যে অবস্থিত এই ছোপটায় বেশিরভাগ পর্যটক ট্রেকিংয়ের জন্য আসেন। তীর্থযাত্রীদের ও ট্রেকারদের এইটি বেস ক্যাম্প বলা যেতে পারে। দেবদারু ও পাইন বন দ্বারা পরিবেষ্টিত ও বেশ কয়েকটি সুন্দর প্রজাতির প্রাণী ও পাখির আবাসস্থল রয়েছে। শান্তিপূর্ণ ও মনোরম পরিবেশে সময় কাটাতে ছোপতা হল একটি দুর্দান্ত জায়গা।
আউলি
উত্তরাখণ্ডের যদি কোনও নিখুঁত স্কিইং ডেস্টিনেশন থাকে, যেখানে অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের কাছে স্বর্গরাজ্য হিসেবে বলা যায়, তা হল আউলি। কয়েকটি প্রাচীন মন্দিরের উপস্থিতিতে এখানকার মাহাত্ম্য বেশি। রয়েছে স্কিইং স্পট। হ্রদ, বন ও সানসেট পয়েন্টের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। দেরাদুন থেকে প্রায় ১৫০ কিমি দূরে অবস্থিত ও সড়কপথে খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: Assam: কাজিরাঙ্গা-মানস-দিসপুর তো সকলেই যান, এবার শীতের মরসুমে ঘুরে আসুন অসমের অফবিট জায়গাগুলিতে