বলিউডে বা বাংলা সিনেমায় কোকাকোলা নিয়ে আইটেম গানের ধুন শুনেছেন নিশ্চয়। যদিও এই প্রতিবেদনের সঙ্গে গানের কোনও সম্পর্ক নেই। তবুও এই জায়গার নাম শুনলে গানের কথা মনে আসবে বৈকি।ব্রাজিলের একটি হ্রদের নাম কোকা কোলা লেক। আপনি কোকাকোলায় ভরা ওই হ্রদে সাঁতার কাটা, গা ডুবিয়ে চারিপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করা, সবকিছুই করতে পারবেন।
ঠিকই দেখেছেন আপনি। কোকা কোলা হ্রদ নিয়ে ব্রাজিলের গর্বের শেষ নেই। পর্যটকদের কাছে এই লেক এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রিপোর্ট অনুসারে, এই হ্রদের মাটি ও জলের মধ্যে রয়েছে খনিজ পদার্থ, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ব্রাজিলের অফিসিয়াল ট্যুরিজম ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, কোকা-কোলা হ্রদের অস্বাভাবিক রঙের খেলা বেশ আকর্ষণীয়। প্রাকৃতিকভাবে লেকের জল স্বাভাবিক। তাই সেখানে সাঁতার কাটা, নৌকায় ভ্রমণ, স্নান করার জন্য একেবারেই নিরাপদ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
এই হ্রদ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে রাখা দরকার, সেগুলি হল…
হ্রদটির আসল নাম হল আরারাকুয়ারা। কিন্তু জলের রঙের কারণে এর নাম হয়ে গিয়েছে কোকা-কোলা লেক। আটলান্টিক রেনফরেস্টের মাতা দ এস্ট্রেলাকে এই হ্রদটি অবস্থিত। হ্রদের জলের রঙ দেখে ভাববেন না যেন, জল দূষিত। আসলে লেকের তীরের কাছাকাছি আয়োডিন, লোহা ও রঞ্চক জাতীয় উচ্চঘনত্বের কারণে হ্রদের রঙে এমনটা দেখায়।
হ্রদের তীরের কাছে, লালচে নীল রঙ হওয়ায় অনেকেই মনে করেন, জল দূষিত হওয়ার কারণেই জলের রঙ বদলে গিয়েছে। তবে এই ধারণা ভুল। এই হ্রদ স্নান ও সাঁতারের জন্য একেবারেই উপযুক্ত।
এমন বিচিত্র পর্যটন স্পটে পৌঁছানোর জন্য ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ৫ ঘণ্টা হাঁটতে হবে। নাহলে সমুদ্রসৈকত বরাবর দুঃসাহসিক ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা অর্জন করে সেখানে পৌঁছাতে হতে পারে।
বছরের পর বছর ধরে, এই লেকটি ব্রাজিলের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এই লেকের জল যেহেতু স্বাস্থ্যকর, তাই প্রাপ্তবয়স্করা এখানে আসার জন্য ভিড় করে বেশি। তবে শিশুরা শুধু নাম শুনেই এই লেকে ঘুরতে আসার প্ল্যান করে। নামের আকর্ষণেই এখানে আলাদা পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।
আরও জানান- Worlds Deadliest Beaches: বিশ্বের বিপজ্জনক সমুদ্রসৈকত কোনগুলি, জানেন?