দার্জিলিং গেলে চা বাগানে দেখার সুযোগ মেলে। কিন্তু সিকিমে গেলে সেই সুযোগ কম। তবে ৪৫০ একরের চা বাগান দেখার সুযোগ রয়েছে সিকিমেই। জায়গার নাম টেমি টি গার্ডেন। ১৯৬৯ সালে তৈরি করা হয় এই চা বাগান। সেই থেকে দার্জিলিংয়ের চা বাগানগুলোকে টেক্কা দিয়ে চলেছে দক্ষিণ সিকিমের এই টেমি চা বাগান। শুধু তাই নয়, প্রতি বছর এই চা বাগানে পালিত হয় চেরি ব্লসম উৎসব। এখানেই টেমি চা বাগান সবার থেকে আলাদা।
হিমালয়ের চেরি ব্লসম দেখতে ডিসেম্বরে পর্যটকেরা ভিড় করেন মেঘালয়ে। কিন্তু হাতের কাছে সিকিম থাকতে অন্য কোথাও কেন যাবেন? সিকিমের টেমি চা বাগান হল একমাত্র ডেস্টিনেশন যেখানে নভেম্বরে গেলে আপনি চেরি ব্লসমের সুন্দর দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারবেন। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে মাত্র ৯৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত দক্ষিণ সিকিমের টেমি চা বাগান। সিকিমের গ্যাংটক থেকে ৫১ কিলোমিটার এবং রাবাংলা থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই চা বাগান।
নভেম্বরেই এখানে পালিত হয় চেরি টি ফেস্টিভ্যাল। ২০১৩ সাল থেকে আয়োজিত হয়ে আসছে এই উৎসব। সিকিমের রাজ্য পর্যটন বিভাগের সহায়তায় টেমি টারকু ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কমিটির উদ্যোগে প্রতি বছর আয়োজিত হয় চেরি টি ফেস্টিভ্যালের। সিকিমের এই চা বাগান পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে এবং টেমি টারকু অঞ্চলের পর্যটন ব্যবস্থা সম্পর্কে পর্যটকদের অবগত করতেই এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
পিছনে দাঁড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা। সবুজে মোড়া চা বাগান। আর তার মাঝে বাগান জুড়ে গোলাপি আভা। চেরি ব্লসমের সৌন্দর্যে ভরে গিয়েছে টেমি চা বাগান। তিন দিন ব্যাপী এই উৎসব দেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। পাশাপাশি প্রতি বছর এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে কয়েকশো বিদেশি পর্যটকও। নভেম্বর মাসের শেষে কিংবা মধ্যভাগে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। সাধারণত ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর চেরি টি ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়।
জাপানের মতো চেরি ব্লসমের মেলা এখানে দেখা যায় না। এমনকী মেঘালয়ের মতো বাগান জুড়ে চেরি ব্লসম ছেয়ে যায় না। তবু cheeটেমি চা বাগানে রাত কাটানোর জন্য রিসর্ট, হোমস্টে রয়েছে। তাজা হিমালয়ান চায়ে চুমুক দিতে পারবেন টেমি চা বাগানের কোলে বসে। টেমি চা বাগান থেকে ঘুরে নিতে পারেন সম্পদ্রুপ্সে মনাস্ট্রি, নামচি চারধাম, নামচি রোপওয়ে, রক গার্ডেন, রাভাংলা বুদ্ধ পার্কের মতো জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো।