গোয়া-মলদ্বীপ নয়, দুরন্ত ছুটি কাটান আন্দামান দ্বীপে!
এই নির্জন দ্বীপে বসতি স্থাপন হলেও, দ্বীপপুঞ্জের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে বহু অজানা জায়গা, যা জানলে আপনিও অবাক হবেন...
আন্দামান দ্বীপে একবার পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন রয়েছে বহুজনের। গোয়া, মলদ্বীপের থেকে অনেক কাছেই এই দুরন্ত ও অসাধারণ পর্যটন কেন্দ্রের কথা অনেকেরই ট্রাভেল প্ল্যানিংয়ের তালিকাতে জায়গা পায় না। কিন্তু নীল সমুদ্রের অপূর্ব প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক দৃশ্যের টানে বহু বিদেশিরা পাড়ি জমান এখানে।
মাড ভলক্যানো
দিগলিপুর ও বারটাংয়ের দেখা যায় কাদার আগ্নেয়গিরি। এখানে যেতে হলে আগে থেকে স্পেশাল অনুমতি নেওয়ার দরকার পড়ে না। কোনও ব্যস্ততাপূর্ণ সিডিউলের মধ্যে না থাকলে এখানে ঘুরে আসতে পারেন।
হ্যাভলক আইল্যান্ড
অমাবস্যার রাতে হ্যাভলক আইল্যান্ডের তীরে একবার গেলে জীবনের সবচেয়ে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতাটি সঞ্চয় করবেন। এই দ্বীপের উপকূলে রাতের অন্ধকারে বায়োলুমিনেসেন্সের ম্যাজিক দেখা যায়। সমুদ্রের ফাইটোপ্ল্যাংটনের কারণ জলের মধ্যে উজ্জ্বল ঝিকিমিকি খেলায় আপনি মুগ্ধ হবেন নিঃসন্দেহে।
টুইন আইল্যান্ড
রস অ্যান্ড স্মিথ আইল্যান্ডকে স্থানীয়রা টুইন আইল্যান্ড বলে তাকে। দুটি দ্বীপকে একটি স্যান্ডবার যুক্ত করেছে। নীল সমুদ্রের মাঝে সোনালি বালির চর দুটি দ্বীপকে যুক্ত করেছে, এমন জায়গা ভূভারতে নেই। দিগলিপুরের রোমাঞ্চকর ফরেস্ট দেখারও সুযোগ রয়েছে এখানে।
সেলুলার জেল
কালাপানির কথা নতুন কিছু নয়। পোর্টব্লেয়ারে অবস্থিত ব্রিটিশ আমলে পুরনো ও বৃহত্তম সংশোধনাগার, যা কালাপানি নামে পরিচিত। এই সেলুলার জেলে জেল খেটেছেন ভারতীয় রাজনৈতিক বন্দি। বর্তমানে সেলুলার জেল ভারত সরকারের অন্তর্ভুক্ত হলেও, পর্যটকদের জন্য রয়েছে বিশেষ ও মহামূল্যবান সব স্মৃতি।