
বিমানে কারও পছন্দ জানলার ধারের আসন, আবার কেউ ভালবাসে আইল সিট। কিন্তু চাইলেই পছন্দমতো সিট সব সময় পাওয়া যায় না। আপনি যত আগে গিয়ে বোডিং পাস সংগ্রহ করবেন, তাহলে পছন্দের সিট পেলেও পেতে পারেন। যে যাত্রী প্রথমে আসেন, তাঁকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয় পছন্দের আসন বেছে নেওয়ার। যদিও ফ্লাইট ধরতে বেশিরভাগ মানুষ কমপক্ষে ২ ঘণ্টা হাতে নিয়ে বেরোন। কিন্তু তাড়াহুড়োর মধ্যে কিংবা কোনও কারণে যদি বিমানবন্দরে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়, তাহলে কি আপনি আপনার পছন্দের আসন পাবেন না? একদমই নয়। ওয়েব চেক-ইন করে নিলে সব ঝক্কি শেষ।
কোভিড পরিস্থিতির পর থেকে যাত্রীরা এখন বেশি ওয়েব চেক-ইন করছেন। বিমানবন্দরে পৌঁছে, কাজকর্ম গুছিয়ে চেক-ইন করতে দেরি হয়ে যায়। আর তার মধ্যে হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে আপনার পছন্দের আসন। তাই বেশিরভাগ মানুষ এখন ফ্লাইটে ওয়েব চেক-ইন করতে পছন্দ করেন। ওয়েব চেক-ইন করলে বিমান চাপার একাধিক ঝামেলা সহজেই অনেকটা এড়ানো যায়। আর সুযোগ পাওয়া যায় নিজের পছন্দের আসনে বসার।
এমন অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থাকেন, যাঁরা একা-একা বিদেশ যাত্রা করেন। সেক্ষেত্রে নিজেকে সব কিছু সামলাতে হয়। এ ক্ষেত্রে ওয়েব চেক-ইন করলে সব ঝক্কি সহজেই এড়ানো যায়। আর যাঁরা প্রথমবার বিমানে চাপবেন, জানলার ধারের সিটে বসার খুব ইচ্ছা তাঁদের মনের বাসনাও সহজেই পূরণ হতে পারে এই ওয়েব চেক-ইনের মাধ্যমে।
ওয়েব চেক-ইনের মাধ্যমে যাত্রী সহজেই কনফার্ম বুকিং টিকিট পেয়ে যাবেন। ডোমেস্টিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে আপনি বিমান ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে ওয়েব চেক-ইন করতে পারেন। এমনকী বিমান ছাড়ার ১ ঘণ্টা আগেও ওয়েব চেক-ইন করতে পারেন। আন্তর্জাতিক বিমানের ক্ষেত্রে ওয়েব চেক-ইন করা যায়। সেক্ষেত্রে আপনি ২৪ ঘণ্টা আগে ওয়েব চেক-ইন করতে পারেন। আন্তর্জাতিক বিমান ছাড়ায় ৭৫ মিনিট আগে পর্যন্ত ওয়েব চেক-ইন করা যায়।
নির্দিষ্ট বিমান সংস্থার ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ওয়েব চেক-ইন করতে হবে। ওয়েব চেক-ইন এর প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আপনি ডিজিটাল বোডিং পাস পেয়ে যাবেন। বিমানবন্দরের ওয়েব চেক-ইন কাউন্টারে ওই ডিজিটাল বোডিং পাস দেখিয়ে আপনি বোডিং পাসের হার্ড কপি পেয়ে যাবেন। আর তার সঙ্গে পেয়ে যেতে পারেন পছন্দের সিট আর বিমানবন্দরের অন্যান্য ঝামেলা থেকে মুক্তি।