জিম করবেট ন্য়াশানাল পার্ক (Jim Corbett National Park) যে অন্যতম সেরা ওয়াইল্ড হটসস্পট, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। একবার গেলে বারবার যাওয়ার ইচ্ছা জাগবে এখানে। দক্ষিণরায় থেকে শুরু করে হরিণ, লেপার্ড, বন্য ভাল্লুক, বাইসনের দেখা মেলে পদে পদে। শুধুই কি বাঘ দেখার জন্য করবেট বিখ্যাত। নিসন্দেহে এখানকার জঙ্গল যেন অজানার হাতছানি দেয়। যাঁরা প্রকৃতিপ্রেমী তাঁদের জন্য এই জঙ্গল অত্যন্ত প্রিয়। ৫৮৬এরও বেশি প্রজাতির বন্যপ্রাণী এখানে বাস করে। শীতের মুখে পর্যটকদের খুলে দেওয়া হল জিম করবেটের গারজিয়া ট্যুরিজম জোন। এমনটাই সবুজ সংকেত দিয়েছে ন্যাশানাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি। তবে রিপোর্চ বলছে, করবেটের এই জোনটি ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তার জন্য বনাঞ্চলে আইন লঙ্ঘনের জন্য এই অঞ্চলে পর্যটন কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল এনটিসিএ। কিন্তু উত্সবের মরসুমে ও শীত শুরুর আগেই এই জোন খুল দেওয়া বেজায় খুশি পর্যটক ও ফটোগ্রাফাররা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ফরেস্ট এনটিসিএ-র এআইজি ভানুমথি দি একটি অফিসিয়াল কমিউনিক স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে তিনি এই জোনটি খোলার জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছেন। অন্যদিকে,জিম করবেটের বিজরানি জোন আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে রাত্রিবাস ও জঙ্গল সাফারির জন্য খুলে দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ফের এই জোন খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর জন্য অনলাইন বুকিংও শুরু হয়েছে।
করবেট টাইগার রিজার্ভের ডিরেক্টর ধীরাজ পাণ্ডে জানিয়েছেন, সময়সূচি অনুসারে ১৫ অক্টোবর ও ১৫ নভেম্বর বিজরানি ও ধিকালা জোন দুটি পুনরায় খোলার প্রস্তুতি তুঙ্গে। উভয় জোনেই রাত্রিযাপনের সুবিধা রয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলিও মেরামত করা হয়েছে। মরসুমর শুরু আগেই প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়েছে।