Ghora Library: আস্ত একটা লাইব্রেরি ঘোড়ার পিঠে, উত্তরাখণ্ডের গ্রামে-গ্রামে এভাবেই পৌঁছে যাচ্ছে বই

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Aug 31, 2023 | 12:37 PM

Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে এমন অনেক পাহাড়ি গ্রাম রয়েছে, যা মানুষ কষ্টে জীবনযাপন করে। সেসব গ্রামের সব বাচ্চারা যে সবসময় স্কুল যেতে পারে তাও নয়। আবার এমন পাহাড়ি গ্রাম রয়েছে, যেখানে স্কুল যেতে গেলে মাইলের পর মাইল হাঁটতে হবে। বাধা, প্রতিকূলতার মধ্যে কি বাচ্চাদের শিক্ষা আটকে যাবে? একদম নয়। তাদের কাছে পৌঁছে যাবে ঘোড়া লাইব্রেরি।

Ghora Library: আস্ত একটা লাইব্রেরি ঘোড়ার পিঠে, উত্তরাখণ্ডের গ্রামে-গ্রামে এভাবেই পৌঁছে যাচ্ছে বই
উত্তরাখণ্ডের কুমায়ন অঞ্চলে শিক্ষা প্রদান করে ঘোড়া লাইব্রেরি। ছবি: PTI NEWS

Follow Us

‘ঘোড়া লাইব্রেরি’—এটা কোনও লাইব্রেরির নাম নয়। বরং, এখানে ঘোড়াই বহন করে বই। পাহাড়ি পথ ভেঙে পিঠে করে বয়ে নিয়ে যায় বাচ্চাদের কাছে। শুনতে অদ্ভুত লাগছে? এ বছর পুজোয় যদি নৈনিতাল বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে নিজে চোখে সাক্ষী হতে পারেন ঘোড়া লাইব্রেরির। উত্তরাখণ্ডের কুমায়ন অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামে বাচ্চাদের কাছে বই পৌঁছে দেয় ঘোড়া। তার পিঠ জুড়ে সাজানো থাকে বিভিন্ন ধরনের বই। তাই এই লাইব্রেরির নাম ‘ঘোড়া লাইব্রেরি’।

উত্তরাখণ্ডে এমন অনেক পাহাড়ি গ্রাম রয়েছে, যা মানুষ কষ্টে জীবনযাপন করে। সেসব গ্রামের সব বাচ্চারা যে সবসময় স্কুল যেতে পারে তাও নয়। আবার এমন পাহাড়ি গ্রাম রয়েছে, যেখানে স্কুল যেতে গেলে মাইলের পর মাইল হাঁটতে হবে। বাধা, প্রতিকূলতার মধ্যে কি বাচ্চাদের শিক্ষা আটকে যাবে? একদম নয়। তাদের কাছে পৌঁছে যাবে ঘোড়া লাইব্রেরি। পাহাড়ের প্রতিটা শিশু যাতে জ্ঞান, শিক্ষা লাভ করতে পারে তার উদ্দেশ্যেই চালু হয়েছে ঘোড়া লাইব্রেরি।

‘ঘোড়া লাইব্রেরি’-এর এই উদ্যোগ চালু করেছেন ২৯ বছর বয়সি শুভম বাধানি। শুভম নৈনিতালের বাসিন্দা। সে নিজেও একজন লাইব্রেরিয়ান। ঘোড়া পিঠে বই নিয়ে গ্রামের শিশুদের হাতে পৌঁছে দেয় সে। সংবাদমাধ্যম দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শুভম জানিয়েছেন, গত ১০ জুন বৃষ্টিতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় গ্রামগুলোকে। এছাড়া প্রতিবছরই বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি রাস্তায় ধস নেমে যোগাযোগ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। অনেক বাচ্চারাই স্কুল যেতে পারে না, পড়াশোনার সুযোগ পায় না। সেখানেই কাজে আসে এই ঘোড়া লাইব্রেরি।

শুভম বাধানির উদ্যোগে শুরু হয় ঘোড়া লাইব্রেরি। ছবি: PTI NEWS

কুমায়ন অঞ্চলের বাঘানি গ্রাম থেকে শুরু হয় ঘোড়া লাইব্রেরির যাত্রা। সরকারি স্কুলের পাঠ্যক্রমে যে বই রয়েছে সেগুলো এই ঘোড়া লাইব্রেরিতে পাওয়া যায়। এছাড়াও সাধারণ জ্ঞান, নৈতিক শিক্ষা সম্পর্কিত বই ও গল্পের বইও রয়েছে ঘোড়া লাইব্রেরির কাছে। ছবির মাধ্যমে কোনও গল্প বাচ্চাদের সামনে তুলে ধরলে তাতে তারা দ্রুত শেখে। তাই সেই ধরনের বই-ই বেশি রাখা হয় ঘোড়া লাইব্রেরিতে।

শুভমের হাত দিয়ে ঘোড়া লাইব্রেরি পথ চলা শুরু করলেও এখন এর সঙ্গে যুক্ত হিমোথান এবং সংকল্প ইয়ুথ ফাউন্ডেশন নামের দুটি স্বেচ্ছাসেবী দল। তারা বই ও তহবিল নিয়ে এগিয়ে এসেছে ঘোড়া লাইব্রেরিকে সাহায্য করার জন্য। স্বেচ্ছাসেবকরা কুমায়ন অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বাচ্চাদের শনাক্ত করে। যারা পড়াশোনা করতে চায়, তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বই। এক সপ্তাহে তারা সেই বইটা নিজের কাছে রেখে পড়তে পারবে। আবার পরের সপ্তাহে যখন ঘোড়া লাইব্রেরি তাদের গ্রামে যাবে, পুরনো বইটি ফেরত দিয়ে নতুন বই সংগ্রহ করতে পারবে।

Next Article