Sittong: শীতই সিটং যাওয়ার সেরা সময়, কেন জানেন?

Kurseong: ৪,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সিটং যেন এক ছড়ানো উপত্যকা। চারপাশে শুধু পাহাড় আর খোলা আকাশ।

Sittong: শীতই সিটং যাওয়ার সেরা সময়, কেন জানেন?

| Edited By: megha

Jan 21, 2023 | 12:37 PM

ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বেশ জনপ্রিয় কার্শিয়াংয়ের সিটং। ছবির মতো সাজানো গ্রাম। কিন্তু বছরের যে কোনও সময় গেলেই যে আপনি এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন, এমন নয়। মূলত, কমলালেবুর টানেই পর্যটকেরা ভিড় করে উত্তরবঙ্গের এই পাহাড়ি গ্রামে। বছরভর পর্যটকদের আনাগোনাও লেগে থাকে। যদি কমলালেবুই দেখতে চান, তাহলে এই শীতই সিটং যাওয়ার সেরা সময়। নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি—এই তিন মাসের মধ্যে যে কোনও সময় সিটং গেলেই আপনার মন হবে, এখানে আসা সার্থক হয়েছে।

সেবক রোডের জঙ্গল, মহানন্দা রেঞ্জ ছাড়িয়ে, তিস্তার পার ধরে সোজা সোজা পথ। ডানদিকে করোনেশন ব্রিজকে রেখে উপরের রাস্তা ধরে রাম্বি বাজার। এখান থেকে আর ৩০ মিনিট গেলেই মংপু। এই মংপু থেকে ঘণ্টাখানেকের রাস্তা সিটং। শীতের মরশুমে যখনই আপনি সিটংয়ে পা রাখবেন, আপনাকে স্বাগত জানাবেন পাকা কমলালেবু।

মিরিকের পরই সিটংয়ে সবচেয়ে বেশি কমলালেবু পাওয়া যায়। অনেকেই সিটংকে অরেঞ্জ ভিলেজ নামে ডাকে। দার্জিলিংয়ের বাজারে যে কমলালেবু পাওয়া যায়, তার অর্ধেক এই সিটংয়ে তৈরি হয়। দেখতে ছোট হলেও কিন্তু সিটংয়ে কমলালেবু বেশ সুস্বাদু। কিন্তু গাছ পাকা কমলালেবু দেখতে গেলে আপনাকে জানুয়ারির মধ্যে ঘুরে নিতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি ডিসেম্বরে সিটংয়ের যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।

যদিও সিটংয়ের সৌন্দর্য শুধু কমলালেবুর মধ্যে আবব্ধ নেই। এই ছোট্ট গ্রামে সারাবছর পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে এখানকার নৈসর্গিক দৃশ্যের কারণে। এখানে যেমন কমলালেবুর মেলা দেখা যায়, তেমনই গ্রামের প্রতিটা বাড়িতে লক্ষ্য করা যায় বাহারি ফুল। আর প্রতিটা বাড়ির লাগোইয়া জমিতে ফলে রয়েছে আনাজ। মহানন্দা স্যাঞ্চুয়ারির গায়েই অবস্থিত হওয়ায় এখানে পাহাড়ি ফুল, ফলের দেখা মেলে। আর হিমালয়ের পাখিদের আনাগোনাও লেগে থাকে।

৪,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সিটং যেন এক ছড়ানো উপত্যকা। চারপাশে শুধু পাহাড় আর খোলা আকাশ। সিটংয়ের মধ্য দিয়ে বয়ে গিয়েছে রিয়াং নদী। বড় বড় পাথরের বোল্ডার আর তার মাঝ দিয়েই বয়ে চলেছে পাহাড়ি রিয়াং। সিটং গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যেই রয়েছে অহলদাড়া ভিউ পয়েন্ট। আপার সিটংয়ে রাত কাটালে চা বাগান, পাহাড়, কাঞ্চনজঙ্ঘা সব কিছু একসঙ্গে পেয়ে যাবেন। কাছেই রয়েছে অহলদাড়া, চটকপুর, লাটপাঞ্চার, মালদিরামের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলো। কার্শিয়াংয়ের এই সমগ্র রেঞ্জটি আপনি এক থেকে দেড় দিনের মধ্যেই ঘুরে নিতে পারবেন।