Bir Billing: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর পর্যটকদের জন্য সাজছে হিমাচল, যেতে পারেন এশিয়ার বৃহত্তম প্যারাগ্লাইডিং সাইটে

Bir Billing: সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কসৌলি, সিমলা, চেইল, নারকান্দা, কিন্নর, ধর্মশালা, ম্যাকলিওগঞ্জ, পালামপুর, ডালহৌসি ও খাজ্জিরার পর্যটকদের খোলা। অর্থাৎ পুজোর মরশুমে এসব জায়গায় আপনি নিশ্চিন্তে বেড়াতে যেতে পারেন।

Bir Billing: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর পর্যটকদের জন্য সাজছে হিমাচল, যেতে পারেন এশিয়ার বৃহত্তম প্যারাগ্লাইডিং সাইটে

| Edited By: megha

Sep 18, 2023 | 12:03 PM

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্ব‌স্ত হিমাচল প্রদেশ। পাহাড়ের কোলে সাজানো শহরে প্রকৃতির রোষে এক নিমেষে তছনছ হয়ে গিয়েছে। সিমলার জনপ্রিয় টয়ট্রেনের লাইনও ভেঙে গিয়েছে ধসের মুখে পড়ে। ভূমিধসের একের পর এক ভয় ধরানো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অত্যধিক বৃষ্টি, হড়পা বান আর পাহাড়ি ধসে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সামনেই দুর্গা পুজোর ছুটি। অনেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন হিমাচল যাওয়ার। তাই অনেকেই ভাবছেন এ রাজ্যে ভ্রমণ সুখকর হবে তো?

সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কসৌলি, সিমলা, চেইল, নারকান্দা, কিন্নর, ধর্মশালা, ম্যাকলিওগঞ্জ, পালামপুর, ডালহৌসি ও খাজ্জিরার পর্যটকদের খোলা। অর্থাৎ পুজোর মরশুমে এসব জায়গায় আপনি নিশ্চিন্তে বেড়াতে যেতে পারেন। কিন্তু এর মধ্যে কোন জায়গায় যাবেন? এই টিপসই শেয়ার রইল আপনার জন্য।

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু প্যারাগ্লাইডিং স্পট হল সুইজারল্যান্ডের জাঙফ্রাউ। আর বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম প্যারাগ্লাইডিং স্পট হল বীর বিলিং, যা অবস্থিত হিমাচল প্রদেশে। বিশ্বের দ্বিতীয় ও এশিয়ার বৃহত্তম প্যারাগ্লাইডিং সাইট বীর বিলিং। এই পুজোয় যেতে পারেন এখানে। অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস বরাবরই পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয়। হিমাচল প্রদেশের অনেক পর্যটন কেন্দ্রতেই প্যারাগ্লাইডিং করার সুবিধা রয়েছে। তবে, সেরা বীর বিলিং।

ইকো-ট্যুরিজম সাইট হিসেবে জনপ্রিয়তা বাড়ছে বীরের। মানালি থেকে ১৭৫ কিলোমিটার দূরত্বে কাংড়া জেলায় অবস্থিত বীর বিলিং। ধর্মশালা ও ম্যাকলিওগঞ্জ থেকে খুব সহজেই পৌঁছানো যায় বীরে। বেশিরভাগ মানুষ ম্যাকলিওগঞ্জের শান্ত পরিবেশে রাত কাটিয়ে ঘুরতে যান বীরে। বীরেও থাকার জন্য একাধিক হোটেল ও হোস্টেলের সুবিধা রয়েছে। জনপ্রিয় প্যারাগ্লাইডিং সাইট হলেও এই পাহাড়ি গ্রাম খুব বেশি ঘিঞ্জি নয়। তাছাড়া ৪,৩৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত হওয়ায় খুব বেশি ঠান্ডা নেই এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ভয় তুলনামূলক ভাবে কম। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বীর বিলিং যাওয়ার সেরা সময়। আর যেহেতু ধর্মশালা, ম্যাকলিওগঞ্জ, পালামপুরের মতো জায়গাগুলো পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছে, তাই অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন বীর বিলিং।

শুধু প্যারাগ্লাইডিং করার উদ্দেশ্যে যে বীর বিলিং যাবেন, তাও নয়। প্যারাগ্লাইডিং করার সময়ই হারে-হারে টের পাবেন বীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। দেখতে পাবেন ধৌলাধর পাহাড়ের প্যানোরমিক দৃশ্য। তাছাড়া বীরের সবুজ ঘেরা উপত্যকা আপনার মন কেড়ে নেবে। প্যারাগ্লাইডিং সাইট ছাড়াও কাংড়া জেলার এই পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে একাধিক বৌদ্ধ মঠ। একসময় এখানে বীর পাল রাজবংশ রাজত্ব করত। তবে, এখন গেলে চোখে পড়বে তিব্বতি কলোনি। চাউকলিং মঠ, নাইংইয়াং মঠ, সেরিং জং মঠ, পালপুং শেরাবলিং মঠ, ভুমাং জাম্পালিং মঠ, জাবসাং চোয়েখোর লিং মঠ এবং শাক্য দিরু মঠ সহ একাধিক বৌদ্ধ মনাস্ট্রি রয়েছে এই পাহাড়ি গ্রামে। তাই পুজোর ছুটিতে বীর বিলিং গেলে নিরাশ হবে না।