২০২৩ শেষ হতে চলল। কিন্তু কিছু মানুষের ভ্রমণ শেষ হওয়ার নাম নেই। এমনকি তৈরি রয়েছে ২০২৪-এর ট্রাভেল প্ল্যান। আজকাল একটা ট্রিপ শেষ হতে না হতেই পরের ডেস্টিনেশন খোঁজা শুরু হয়ে যায়। ব্যস্ত জীবনযাত্রা থেকে বিরতি নিয়ে অনেকেই বেড়িয়ে পড়েন নতুন কোনও গন্তব্য খুঁজতে, নতুন জায়গা অন্বেষণ করতে। ইদানিং লং উইকএন্ডগুলোতে কাছেপিঠের ডেস্টিনেশনে হোটেল খালি পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এই যেমন ধরুন নিউ ইয়ার সেলিব্রেশন। এ বছর ২৩ ডিসেম্বর শনিবার হওয়ায়, বছরের শেষের ছুটি উপভোগ করতে বাক্স-প্যাটরা গুছিয়ে বহু মানুষ বেরিয়ে পড়েছেন বেড়াতে। আবার কেউ কেউ সারাবছর টুক-টুক করে ঘুরে বেড়াতে থাকেন। কখনও শর্ট ট্রিপ আবার কখন ট্রেকিং। কিন্তু বছরে কতবার বেড়াতে যাওয়া উচিত জানেন?
কোভিড পরবর্তীকালে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে রিভেঞ্জ ট্যুরিজম। ঘরবন্দি থেকে মানুষ এতটাই বিরক্তি হয়ে গিয়েছে যে, এখন সুযোগ পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। একেই বলা হচ্ছে ‘রিভেঞ্জ ট্যুরিজম’। এর জেরে নতুন নতুন অফবিটের সন্ধান পাওয়া যায়। সে জায়গার মানুষ কাজের সুযোগ পাচ্ছে। পাশাপাশি ওই অঞ্চলের পর্যটন ব্যবস্থা উন্নত হচ্ছে। রিভেঞ্জ ট্যুরিজমের জেরে আজকাল মানুষ ঘন ঘন বেড়াতে যান। কিছুটা আবার পিয়ার প্রেশারও রয়েছে। কিন্তু বছরে ঠিক কতবার বেড়াতে যাওয়া উচিত, তা কি জানেন?
বেড়াতে গেলে মন ও শরীর ভাল থাকে। বেশিরভাগ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বছরে অন্তত দু’বার বেড়াতে যাওয়া উচিত। এতে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে। বেড়াতে যাওয়ার জন্য আর্থিক পরিস্থিতি, সময়-সুযোগ সবই নির্ভর করে। তাই বছরে দু’টো বড় ট্রিপ প্ল্যান করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। তবে, বছরে একবারও যদি ৫-৭ দিনের ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে আসেন, আপনার মন ও শরীর ভাল থাকবে। তবে, লং ভ্যাকেশনের জন্য আদর্শ সময় হল ৮ থেকে ১১ দিন। এছাড়া কয়েক মাস অন্তর অন্তর ছোট-ছোট উইকএন্ড ট্রিপ প্ল্যান করতেই পারেন। এটাও আপনার মন ও মেজাজকে ভাল করে দেবে। তাই বছরের শেষে হোক বা শুরু কিংবা গোটা বছর জুড়ে টুক-টুক করে ভ্রমণের পরিকল্পনা করতেই পারেন।