জলের তলার জগতকে দেখার জন্য অনেকেই স্কুবা ড্রাইভিং করতে পছন্দ করেন। আবার কারও অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের প্রতি আগ্রহ থাকলেও স্কুবা ডাইভিং করে থাকেন। কিন্তু আপনি যদি প্রথম জন হয়ে থাকেন, তাহলে এই নিবন্ধটি আপনার জন্য। তবে, এখানে স্কুবা ডাইভিং নিয়ে কোনও আলোচনাই আমরা করব না। এই নিবন্ধে আপনার জন্য রয়েছে জাদুঘরের খোঁজ। আন্ডারওয়াটার মিউজিয়াম। বিশ্বের অনেক জায়গায় এমন মিউজিয়াম রয়েছে, যেখানে জলের নিচের দৃশ্য দেখা যায়। যদিও আন্ডারওয়াটার মিউজিয়ামের সংখ্যা খুব কম। আর যদি আপনি ভাবেন যে বিদেশের আন্ডারওয়াটার মিউজিয়ামের খোঁজ দেব, একদম ভুল ভাবছেন। ভারতেই রয়েছে আন্ডারওয়াটার মিউজিয়াম। পুদুচেরিতেই অবস্থিত ভারতের আন্ডারওয়াটার মিউজিয়াম।
ভারতীয় নৌবাহিনী, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি, ন্যাশনাল সেন্টার ফর কোস্টাল রিসার্চ, এনজিও পন্ডিকান এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় পুদুচেরিতে গড়ে উঠেছে আন্ডারওয়াটার মিউজিয়াম। আইএনএস কুড্ডালোর নামের একটি একটি ডিকমিশনড মাইনসুইপারকে রূপান্তরিত করা হয়েছে মিউজিয়ামে। পুদুচেরির সমুদ্র উপকূল থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে এবং ২৬ মিটার গভীরে তৈরি হয়েছে এই মিউজিয়ামটি।
আইএনএস কুড্ডালোর প্রায় তিন দশক ধরে পরিষেবায় ছিল। এটি প্রায় ৬০ মিটার দীর্ঘ এবং ১২ মিটার চওড়া কাঠামো। এই জাহাজকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে পুদুচেরির আন্ডারওয়াটার মিউজিয়াম। এই জাহাজের মধ্য দিয়ে যাতে সামুদ্রিক প্রাণীরা চলাচল করতে পারে, তারও ব্যবস্থা করে হয়েছে। আন্ডারওয়াটার মিউজিয়ামের কারণে পুদুচেরির পর্যটন যেমন উন্নত হবে, তেমনই শক্তিশালী হবে ইকো-সিস্টেমও। এমনকী এই মিউজিয়াম মৎস্য শিল্পের বিকাশেও সাহায্য করবে।
এই আন্ডারওয়াটার মিউজিয়ামের প্রধান আকর্ষণ হল বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের জীব বৈচিত্র্য। সামুদ্রিক মাছ আর কচ্ছপ দেখার সুযোগ। তার সঙ্গে সামুদ্রিক শৈবাল। এখানে আপনি ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত স্কুবা ড্রাইভিং করতে পারবেন। যদিও এই মিউজিয়াম পর্যটকদের জন্য কবে খোলা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে, এমনই এক মিউজিয়াম রয়েছে গ্রিসেও।
ভূমধ্যসাগরের গর্ভে রয়েছে বিশ্বের প্রথম আন্ডারওয়াটার মিউজিয়াম। প্রায় ২৪০০ বছরের ধ্বংসস্তূপকে ঘিরে গড়ে উঠেছে ওই মিউজিয়ামটি। যদিও এই মিউজিয়াম ঘুরে দেখার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে। আন্ডারওয়াটার ডাইভিংয়ের সার্টিফিকেট জমা দিলে তবেই দেখতে পারবেন গ্রিসের আন্ডারওয়াটার মিউজিয়াম। যদি এই আন্ডারওয়াটার মিউজিয়ামগুলো ঘুরে দেখা অ্যাডভেঞ্চারের চেয়ে কম কিছু নয়।