Lucknow Zoo: পরিবেশপ্রেমীদের জন্য সুখবর! এবার নাইট সাফারি শুরু হতে চলেছে এই বিখ্যাত চিড়িয়াখানায়

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Aug 31, 2022 | 9:19 AM

Night Safari in Zoo: কুকরাইল নদীকেও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে। পরিবেশ ও বন সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যথাযথ আলোচনার পর মন্ত্রিসভায় একটি প্রতিবেদন পাঠানো হবে

Lucknow Zoo: পরিবেশপ্রেমীদের জন্য সুখবর! এবার নাইট সাফারি শুরু হতে চলেছে এই বিখ্যাত চিড়িয়াখানায়

Follow Us

ইকো-ট্যুরিজমের ( EcoTourism) প্রবণতা ভারতে দিন দিন বেড়েই চলেছে। পরিবেশ রক্ষার্থে এই বিষয়ে নজর দেওয়ায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আকর্ষণ অর্জন করেছে। ধীরে ধীরে সমস্ত রাজ্যেই ইকো-ট্যুরিজম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে পৌঁছাচ্ছে। কীভাবে পরিবেশকে রক্ষা করে নিজেদের বিনোদনকে একত্রিত করা যায়, যত্নে নেওয়া যায়, তা ইকো-ট্যুরিজমের মাধ্যমেই গড়ে তোলা সম্ভব। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh)  কুরকাইলে একটি জলজিক্যাল পার্ক (Zoological Park) নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। শতাব্দী প্রাচীন নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ জুলজিক্যাল পার্ক বা লখনউও চিড়িয়াখানা করাইল বনাঞ্চলে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রসঙ্গত, ইকো-ট্যুরিজমেরর মাধ্যমে এবার বনাঞ্চলে নাইট সাফারির প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

এই অভিনব পদক্ষেপটি রাজ্যে ইকো-ট্যুরিজমকে উন্নীত করতে, স্থানীয়দের জন্য কর্মসংস্থান বাড়াতে ও সংস্কৃতি-সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রসারিত করতে সাহায্য করবে বলে আশাবাদী। নাইট সাফারির মাধ্যমে জুওলজিক্যাল পার্কের ট্রেইলগুলি অন্বেষণ করা প্রকৃতিকে বোঝার, জানার এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, অরণ্য সম্পর্কে নানান অজানা তথ্য সম্পর্কে আরও সচেতনতা তৈরি করার অন্যতম সেরা উপায়।

রাতের সাফারি লখনওয়ের বনাঞ্চলের পূর্ব ও পশ্চিম ব্লকের প্রায় ২,০২৭ হেক্টর ঘন জঙ্গলকে অসুবিধায় না ফেলে প্রায় ৩৫০ একর জঙ্গল নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। মিডিয়ার রিপোর্ট বলছে, পর্যটন মন্ত্রী জয়বীর সিং এই পদক্ষেপটিকে একটি উচ্চভিলাষী প্রকল্প হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দেশের মধ্যে এমন অভিনব পদক্ষেপের জন্য যে জরিপ ও ব্যয় হবে তার জন্য একজন পরামর্শদাতা নিয়োগ করা হবে। এছাড়া পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কুকরাইল বনের উপকণ্ঠে চার লেনের সড়ক নির্মাণ করা হবে।

এছাড়া কুকরাইল নদীকেও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে। পরিবেশ ও বন সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যথাযথ আলোচনার পর মন্ত্রিসভায় একটি প্রতিবেদন পাঠানো হবে এবং তার ভিত্তিতে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। রাজ্যের প্রায় ৫৬টি ইকোট্যুরিজম স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে এবং শিল্পের উন্নয়নের জন্য এই সেক্টরকে উত্সাহিত করতে ভবিষ্যতে আরও কাজ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

Next Article