Nagaland: ফের রঙিন ভাবনায় সাজছে নাগাল্যান্ড! ডিসেম্বরেই পালিত হবে বিখ্যাত ‘হর্নবিল ফেস্টিভ্যাল’

Famous festival in India: প্রতিবছর এই কারণেই দেশ ও বিদেশ থেকে পর্যটকরা ভ্রমণের জন্য আসেন ও আদিবাসী সংস্কৃতি সঙ্গে মিশে যান। সাধারণত এই উত্‍সবের জন্য এখন থেকেই চলছে পুরোদমে প্রস্তুতি।

Nagaland: ফের রঙিন ভাবনায় সাজছে নাগাল্যান্ড! ডিসেম্বরেই পালিত হবে বিখ্যাত হর্নবিল ফেস্টিভ্যাল

| Edited By: দীপ্তা দাস

Oct 21, 2022 | 5:04 PM

প্রতি বছরের মত এবারেও ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নাগাল্যান্ডের (Nagaland) বিখ্যাত উত্‍সব পালিত হবে। তবে এবারের আকর্ষণ ও আয়োজন দুটোই বেশ জাঁকজমকপূর্ণ। কারণ কোভিড অতিমারির ( COVID 19 Pandemic) জেরে এই উত্‍সবেরও উত্‍সবের জৌলুষ ফিকে হয়ে গিয়েছিল। তাই এবারের উত্‍সব হবে সেরার সেরা। সেই কারণেই এখন থেকেই হর্নবিল উত্‍সবের (Hornbil Festival 2022)  প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে নাগাল্যান্ডে। প্রসঙ্গত, হর্নবিল উত্‍সব নাগা উপজাতিদের কাছে মহোত্‍সব বলে পরিচিত। করোনার কারণে এই উত্‍সব ২ বছর বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে ২ বছর বাদে ফের এই আকর্ষণীয় উত্‍সব পালিত হতে চলেছে। সাধারণত ডিসেম্বরের প্রথম ১০ দিনের মধ্যেই এমন উত্‍সবের অনুমতি দিয়েছে নাগাল্যান্ড সরকার।

ভারতীয় ধণেশ পাখির নাম অনুসারেই এই উত্‍সবের নাম রাখা হয়েছে হর্নবিল উত্‍সব। কারণ এই পাখির সংখ্যা নাগাল্যান্ডে যেমন বেশি দেখা যায়, তেমনি হর্নবিলকে নাগা জনজাতির সংস্কৃতি ও লোকসাহিত্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়। নাগাল্যান্ডে যে সব উত্‍সব পালিত হয়, তার মধ্যে অন্যতম হল এই বিখ্যাত হর্নবিল উত্‍সব। পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে এই উত্‍সবের আয়োজন করা হয়। ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর নাগাল্যান্ডের কিসামা গ্রামে এই রঙিন উত্‍সবের আয়োজন করা হয়। রাজ্যের রাজধানী কোহিমা শহর থেকে প্রায় ১২ কিমি দূরে অবস্থিত নাগা হেরিটেজ এই গ্রামে আয়োজন করা হয়।

এবারের উত্‍সব ২৩ বছরের পা দিতে চলেছে। ২০০০ সাল থেকে শুরু হলেও কোভিডের কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বন্ধ রাখা হয়েছিল এই জনপ্রিয় উত্‍সব। তবে এই বছরের উত্‍সবটিকে ঘিরে রয়েছে নতুন ভাবনা। আগের রিপোর্ট বলছে, মহামারির কারণে ২০২০ সালে উত্‍সবটি পালন করা হলেও, তা তিনদিনের জন্য় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে গত বছর সোম জেলার ওটিং গ্রামে নাগরিকদের নির্বিচারে হত্য়া করার জন্য় মাঝপথেই উত্‍সবটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। জনপ্রিয় এই বিখ্য়াত ফেস্টিভ্য়ালটি উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পরিদর্শন করার সেরা সময়। কাশ্মীর, গোয়া, কেরালা ভ্রমণের জন্য উত্‍সুক পর্যটকরাও এখন নাগাল্যান্ড ও উপজাতিদের সমৃদ্ধ ও রঙিন সংস্কৃতিকে আপন করে নিতে সেখানে ভিড় করছেন। বাড়ছে রাজ্যের পর্যটকের আনাগোনাও।

উল্লেখ্য, নাগা উপজাতিদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতেই এই উত্‍সবের আয়োজন। প্রতিবছর এই কারণেই দেশ ও বিদেশ থেকে পর্যটকরা ভ্রমণের জন্য আসেন ও আদিবাসী সংস্কৃতি সঙ্গে মিশে যান। সাধারণত এই উত্‍সবের জন্য এখন থেকেই চলছে পুরোদমে প্রস্তুতি। হোহো উপজাতির লোকেরা কিসামাতে মোরং বা কুঁড়ে ঘর মেরামত ও তৈরি করেন এই সময়। প্রত্যেকেই দুর্দান্ত সাফল্যের সঙ্গে এই উত্‍সবের জন্য অবদান রেখে কাজ করেন। উত্‍সবে মুরিং, হোহো, নাগা উপজাতির তরুণ-তরুণীরা উজ্জ্বল রঙের পোশাকে সেজে ওঠেন। হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি অলঙ্কার, ছাগলের শিং দিয়ে তৈরি গলার হার, পায়ের বেড়ি পরে নাচ-গান করেন। সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অটুট রেখে এই উত্‍সবের আয়োজন করা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই যুদ্ধে যেমন বীরদর্পে, হাতির দাঁতের অলঙ্কারে সেজে উঠতেন রাজা ও তার সেনাবাহিনী , তেমন ভাবেই সেজে ওঠেন তাঁরা। সঙ্গী সবুজ ঘেরা পাহাড়, নীল আকাশ ও প্রকৃতির শান্ত ও নির্মল ঘ্রাণ।