AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mccluskieganj: রাঁচির কাছে পাহাড়ে ঘেরা সাহেবি কলোনিতে কাটাতে পারেন ছোট্ট উইকএন্ড

Weekend Trip: ঢেউ খেলানো প্রান্তর, পাহাড়ি নদী, জঙ্গল, ঝর্না নিয়ে গড়ে উঠেছে ম্যাকলাস্কিগঞ্জ। বুদ্ধদেব গুহর অনেক গল্পে এই ম্যাকলাস্কিগঞ্জের বর্ণনা পাওয়া যায়। একসময় বাঙালিরা হাওয়া-বদলের জন্য আসতেন এই পাহাড়ি জনপদে।

Mccluskieganj: রাঁচির কাছে পাহাড়ে ঘেরা সাহেবি কলোনিতে কাটাতে পারেন ছোট্ট উইকএন্ড
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2023 | 10:58 AM
Share

বুদ্ধদেব গুহ তাঁর ‘একটু উষ্ণতার জন্য’ উপন্যাসে লিখেছিলেন, “এই জায়গাটায় সকাল হয় না, সকাল আসে। অনেক শিশির ঝরানো ঘাসে ভেজা পাহাড়ি পথ মাড়িয়ে অনেক শঙ্খিনী নদী পেরিয়ে সোনা-গলানো পোশাক পরে সকাল আসে এখানে।” আমরাও আজকে ঠিক এই জায়গাটারই খোঁজ এনেছি আপনাদের জন্য। জায়গার নাম ম্যাকলাস্কিগঞ্জ। অনেকের কাছে অজানা, আবার কারও পছন্দের উইকএন্ড ডেস্টিনেশন। একসময় মিনি বিলেত বলা হত। গত শতকের তিন দশকের শুরুতে এখানে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের জন্য স্থাপিত হয়েছিল কলোনাইজেশন সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া। এরপর ১৯৩৩ সালে ১ হাজার একর জমিতে তৈরি হয় ব্রিটিশ-ভারতের প্রথম অ্যাংলো ইন্ডিয়ান কলোনি। কোঙ্কা, ল্যাপরা, হেসালং, মাহুলিয়া, ডুলি ও রামদাগা—এই ছয় গ্রাম নিয়ে গড়ে ওঠে কলোনি। তখন ৩০০ পরিবারের বাস ছিল এখানে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ধীরে-ধীরে কমতে থাকে জনসংখ্যা।

বুদ্ধদেব গুহর অনেক গল্পে এই ম্যাকলাস্কিগঞ্জের বর্ণনা পাওয়া যায়। একসময় বাঙালিরা হাওয়া-বদলের জন্য আসতেন এই ম্যাকলাস্কিগঞ্জে। আর এখানকার আবহাওয়াও মনোরম। ঢেউ খেলানো প্রান্তর, পাহাড়ি নদী, জঙ্গল, ঝর্না নিয়ে গড়ে উঠেছে ম্যাকলাস্কিগঞ্জ। সাহেবদের পরিত্যক্ত বাংলোর পাশ দিয়ে, ঘন সবুজ জঙ্গলের মধ্য দিয়ে, পাহাড়ি পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে ঘুরতে পারেন এই পাহাড়ি জনপদ। সাহেবদের কলোনি হলেও ম্যাকলাস্কিগঞ্জ মুন্ডা, ওঁরাও আদিবাসীদের জায়গা।

অসংখ্য সাহেবি বাংলোর মাঝে ঘুরে নিতে পারেন ম্যাকলাস্কি সাহেবের স্মৃতিতে গড়া স্মৃতি সৌধ। ই এল ম্যাকলাস্কি সাহেবের উদ্যোগেই ঝাড়খণ্ড নাগপুর মালভূমিতে গড়ে উঠেছিল অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের কলোনি, যা আজকের ম্যাকলাস্কিগঞ্জ। এছাড়াও এখানে রয়েছে রোমান ক্যাথলিক চ্যাপেল অফ দ্য সেক্রেড হার্ট, জাগৃতি বিহার। ম্যাকলাস্কিগঞ্জের প্রান্ত দিয়ে বয়ে গিয়েছে দামোদর ও চট্টি নদী। হাঁটতে হাঁটতে যেতে পারেন সেখানেও। ম্যাকলাস্কিগঞ্জকে পাখির চোখ দিয়ে দেখার জন্য যেতে পারেন হেসালাং ওয়াচ টাওয়ারে। এছাড়া যেতে পারেন ডেগাডেগি নদী ও কুমারপাত্রা নদী। নদীর তীরগুলো এক-একটা জনপ্রিয় পিকনিক স্পট। তবে, এখানকার নৈসর্গিক দৃশ্য ও শান্ত পরিবেশ সবকিছুকে ছাপিয়ে যাবে। মায়াপুর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যেতে পারেন নাট্টা পাহাড়ের উপর। এখানে বসে উপভোগ করতে পারেন সূর্যাস্ত।

অগস্টের লং উইকএন্ড কাটিয়ে আসতে পারেন ম্যাকলাস্কিগঞ্জ থেকে। যদিও বছরের যে কোনও সময় আপনি ম্যাকলাস্কিগঞ্জে হাওয়া-বদলের জন্য যেতে পারেন। হাওড়া থেকে একমাত্র শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস সোজা যায় ম্যাকলাস্কিগঞ্জ। কিন্তু সেটা নামায় মাঝরাতে। তাই রাতের ঝক্কি এড়াতে আপনি রাঁচিগামী ট্রেন ধরতে পারেন। রাঁচি থেকে ম্যাকলাস্কিগঞ্জ ৫৬ কিলোমিটার। রাঁচি থেকে গাড়ি পেয়ে যাবেন ম্যাকলাস্কিগঞ্জ যাওয়ার। ম্যাকলাস্কিগঞ্জে থাকার জায়গা খুব কম। তাই আগে থেকে সেই হাতে গোনা হোটেল, কটেজগুলো বুক করে রাখাই ভাল।