পুজোর ছুটিতে সিকিম বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল অনেকেরই। কিন্তু সেই পরিকল্পনা এখন ভুগছে অনিশ্চয়তায়। পুজোর আগেই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে সিকিম। পর্যটন মানচিত্র থেকে মুছে গিয়েছে অনেক পাহাড়ি গ্রাম, হয়তো সেখানেই বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল আপনারও। সিকিমের এমন ভয়াবহ অবস্থা দেখে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন বেড়াতে যাওয়ার। তাছাড়া বাংলা ও সিকিমের যোগাযোগে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এখনও বন্ধ। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কালিম্পং যাওয়ার জন্য কিংবা রংপো হয়ে সিকিমে যাওয়ার জন্য এই রাস্তাই বেশি ব্যবহৃত হত। তাই অনেকেই বুঝতে পারছেন না, এই মুহূর্তে ঠিক কী করা উচিত।
পুজোর সময় সিকিম যাবেন বলে, ট্রেনের টিকিট, গাড়ি ভাড়া, হোটেল বুকিং সবই হয়ে গিয়েছে। সিকিমের বিধ্বস্ত পরিস্থিতির কারণে দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে গাড়ির ভাড়া। পরিস্থিতি দেখে অনেকেই বাতিল করে দিয়েছেন সিকিম ভ্রমণের পরিকল্পনা। বুকিং বাতিল হওয়ায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। তবে, উত্তর সিকিম বেড়াতে যাওয়া এখন সম্ভব নয়। তাই অনেকেই এমন জায়গার খোঁজ করছেন, যেটা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে অনায়াসে যেতে পারবেন এবং সেখানে বিপর্যয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই।
রবিবার থেকে সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকেরা নামতে শুরু করেছে। তবে, এখনও প্রায় ১৭০০ পর্যটক আটকে সিকিমে। প্রায় ৬০,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে। চলছে উদ্ধারকার্য। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ। তবে, সিকিমগামী অন্য রাস্তাগুলো খোলা রয়েছে। নতুন মেলি থেকে রংপো অবধিও যাওয়া যাচ্ছে। এমনকী গ্যাংটক পর্যন্তও আপনি যেতে পারবেন। তাই সিকিম ভ্রমণের প্ল্যান বাতিল করার বদলে সঠিক ডেস্টিনেশন বেছে নিন। উত্তর সিকিম যাওয়া এখন সম্ভব নয়। তবে, পশ্চিম ও দক্ষিণ সিকিম যেতে পারেন।
এই মুহূর্তে দক্ষিণ ও পশ্চিম সিকিম বেড়াতে যাওয়া নিরাপদ। পশ্চিম সিকিমের মধ্যে নামচি, পেলিং, রাবাংলা, কালুক, ছায়াতাল, রিনচেনপংয়ের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলো বেড়াতে যেতে পারেন। দক্ষিণ সিকিমের মধ্যে নামচি, রংপো ছাড়াও আপনি জোরথাং, টেমি চা বাগান যেতে পারেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতি হয়েছে পূর্ব সিকিমের। তবে গ্যাংটক পৌঁছাতে পারেন জোড়থাং, নামচি হয়ে। কিন্তু এই মুহূর্তে সিকিম বেড়াতে যাওয়ার কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গিয়েছে। স্থানীয় হোটেল ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তবেই ট্যুর প্ল্যান করুন।