জগন্নাথ মন্দির, মনোরম সমুদ্রসৈকত ছাড়াও পুরীতে রয়েছে অনেক কিছু! জানুন

aryama das |

Jun 01, 2021 | 8:30 PM

পুরী বাঙালিদের কাছে অত্যন্ত আপন একটি জায়গা, যেখানে সময় পেলেই টুক করে ঘুরে আসা যায় গোটা পরিবারকে নিয়ে। ভারতের অন্যতম সুন্দর সমুদ্রসৈকত তো বটেই, বিশ্বজোড়া এর খ্যাতি রয়েছে।

জগন্নাথ মন্দির, মনোরম সমুদ্রসৈকত ছাড়াও পুরীতে রয়েছে অনেক কিছু! জানুন

Follow Us

প্রাচীন মন্দির, সমুদ্রের বিশাল ঢেউ, পুরীর জগন্নাথ মন্দির, পুরীর গজা আর কটকি শাড়ির সঙ্গে বাঙালির নিবিড় সম্পর্ক। অফিসের চাপ কমাতে, পরিবারের সঙ্গে একান্তে ছুটি কাটাতে দার্জিলিং, দীঘার পরই পুরীর কথা মনে আসে। পুরীর মনোরম সৈকত ছাড়া আর কী কী দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যা দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবেন তো বটেই, এমন কিছু কিছু সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে, যেখানে অধিকাংশ ঘুরে দেখেও আসেন না, সেইসব জায়গাগুলি সম্বন্ধে টুক করে জেনে নিন…

জগন্নাথ মন্দির- পুরী জংশন থেকে মাত্র ২.৫ কিমি দূরে অবস্থিত বিশ্ববিখ্যাত পুরীর জগন্নাথ মন্দির। ১১৬১ বঙ্গাব্দে প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরে বিরাজ করেন জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম । চারধামের মধ্যে বদ্রীনাথ, দ্বারকা, রামেশ্বরম ও পুরী রয়েছে। এই পবিত্র মন্দির দর্শনের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটক ও ভক্ত ছুটে আসেন।

গুন্ডিচা ঘর মন্দির- এই মন্দিরের স্থাপত্যের সহ্গে পুরীর মন্দিরের হুবহু মিল রয়েছে। পাথরের তৈরি মন্দিরের গায়ে জটিল ও নান্দনিক শিল্পকর্ম দেখার মতো। জগন্নাথ মন্দিরের পাশেই এই মন্দিরটি কলিঙ্গের স্টাইলে নির্মাণ করেছিলেন গুন্ডিচা মহারাণী। প্রসঙ্গত, ইনিই প্রথম জগন্নাথ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। মন্দিরের চারিদিকে সাজানো উদ্যান রয়েছে। কথিত রয়েছে, ভগবান জগন্নাথের বাগান বাড়ি এটি। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে পুরীতে ৯ দিন ধরে চলে ধর্মীয় অনুষ্ঠান।

মার্কাণ্ডেশ্বর মন্দির- এই মন্দিরে মহাদেব অধিষ্ঠিত। পুরী বেড়াতে গেলে জগন্নাথ মন্দির, সৈকত, চিল্কা ছাড়াও এই মন্দির দর্শনের কথা ভুলবেন না যেন। পুরীর খুব কাছেই এই মন্দিরটি অবস্থিত। মার্কাণ্ডেশ্বর রাস্তার পাশে এই মন্দিরটি স্থাপিত। পুরীর পঞ্চতীর্থের মধ্যে এটি অন্য়তম। ভারতে ৫২টি শিবের পবিত্র স্থানের মধ্যে মার্কাণ্ডেশ্বর মন্দির অন্যতম বলে পরিচিত। প্রসঙ্গত, এই মন্দিরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল, দশহাত যুক্ত নটরাজের বিশালাকার মূর্তি।

সূদর্শন ক্রাফ্ট মিউজিয়াম- পুরীর স্টেশন রোডের কাছেই রয়েছে সুদর্শন ক্রাফ্ট মিউজিয়াম। মূল স্টেশন থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে। ১৯৭৭ সালে এই জাদুঘরটি তৈরি করেন বিখ্যাত শিল্পী শ্রী সূদর্শন সাহু।স্থানীয় ও রাজ্যের বিভিন্ন শিল্পকীর্তি এই জাদুঘরে গেলে পরিচয় ঘটবে। জানা যাবে অজানা অচেনা তথ্য। বিশিষ্ট শিল্পী সুদর্শন সাহুর নিজহাতে তৈরি করা কাঠের তৈরি শিল্প, পাথের উপর খোদাই করা নিদর্শন, ফাইবারগ্লাসের তৈরি হ্যান্ডক্রাফ্ট-সবই দেখতে পাবেন এখানে।

আথারানালা ব্রিজ- পুরীর অন্যতম দর্শনীয় স্থান হল এই প্রাচীন ব্রিজ। ১৩ শতকে গঙ্গার রাজা ৮৫ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি নির্মাণ করেন। গোটা ব্রিজটিই একটি প্রত্নতাত্ত্বিক হেরিটিজ হিসেবে পরিচিত। শীতকালে এই ব্রিজের সৌন্দর্য দেখতে ভিড় করেন বহু পর্যটক।

Next Article