টিয়া এবং তাঁর বাগদত্তের সম্পর্কের চড়াই-উৎরাই বোঝাতে, গেহরাইয়াঁয় ব্যবহৃত বাংলোটি ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মুক্তির পর থেকেই গেহরাইয়াঁ নিয়ে প্রচুর আলোচনা শুরু হয়েছে। পরিচালক শকুন বত্রার নতুন ছবিটি দেখা যাচ্ছে আমাজন প্রাইম ভিডিও প্ল্যাটফর্মে। ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে এই প্রজন্মের চারজন তরুণ-তরুণীকে ঘিরে। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদি, অনন্যা পাণ্ডে, ধৈর্য কারওয়া। জীবনে চলার পথে আকস্মিকভাবেই চারজনের একসঙ্গে দেখা হয়ে যায়। এরপর মাঝে মধ্যেই সৈকতের কাছাকাছি এক প্রাসাদোপম ভিলায় মিলিত হতো চতুষ্টয়। বস্তুত ওই বাংলোই হয়ে ওঠে ছবির পঞ্চম চরিত্র।
ছবিতে ওই বাংলোর মালিকানা ছিল অনন্যা পাণ্ডে অভিনীত টিয়া নামের চরিত্রের হাতে। ঘটনার অগ্রগতির সঙ্গে দর্শকও টের পেতে থাকেন, টিয়া এবং তার বাগদত্ত জৈন এবং সেইসঙ্গে টিয়া এবং তাঁর খুড়তুতো বোন আলিশার (দীপিকা পাড়ুকোন) মধ্যেও সম্পর্কের ওঠানামার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠছে বাংলোটি। মজার ব্যাপার হল, ছবিতে বাংলোটির অবস্থান আলিবাগে দেখানেো হলেও আসলে ভিলাটি রয়েছে গোয়ায়।
‘অহিল্য বাই দ্য সি’ হোটেলটিতে রয়েছে তিনটি আলাদা ভিলায় সাগরমুখী ৯টি ঘর। রয়েছে দু’টি পুল, বাগিচা এবং স্পা। উত্তর গোয়ার নেরুল গ্রামে রয়েছে এই রিসর্ট। এই রিসর্টের ঘরভাড়া শুনলে চমকে যেতে পারেন। কারণ একটি রাত্রি বাস করতে হলে গুনতে হতে পারে ২১০০০ থেকে ৩৩০০০ টাকা!
আলিশা এবং জৈনের প্রথম দেখা এবং নিষিদ্ধ প্রেমের সূত্রপাত এই ভিলা থেকেই। একইসঙ্গে করণে টিয়া এবং আলিশার বিরোধিতারও শুরু সেখান থেকে। আলিশাকে করণের প্রপোজ করার জায়গাও সেই রিসর্ট।
ছবিটি মুক্তি পেয়েছে গত শুক্রবার। সহ প্রযোজক করণ জোহর। ছবিতে ছোট্ট অথচ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসরুদ্দিন শাহ এবং রজত কাপুর।
আরও পড়ুন: Andaman & Nicobar Island: ভেসে যেতে আর বাধা নেই, খুলছে দক্ষিণ আন্দামানের পর্যটনস্থলের দরজা!