Jagdalpur: পুজোয় চলুন ‘নায়গ্রা’ দেখতে, মাত্র ২ দিনের ছুটি এবং কম খরচে দেখে আসুন ভারতের সেরা জলপ্রপাত

Chhattisgarh: বর্ষার পরে সবুজে মোড়া পাহাড়, জঙ্গল, নদী, জলপ্রপাত নিয়ে জগদলপুর। ছোটবেলায় ভূগোলের বইতে যেসব জলপ্রপাতের কথা পড়েছিলেন, সেগুলো চাক্ষুষ দেখতে চলে আসুন জগদলপুরে। পুজোয় যেতে পারেন এখানে। কী-কী দেখবেন এই শহরে, রইল তালিকা।

Jagdalpur: পুজোয় চলুন নায়গ্রা দেখতে, মাত্র ২ দিনের ছুটি এবং কম খরচে দেখে আসুন ভারতের সেরা জলপ্রপাত

| Edited By: megha

Sep 13, 2023 | 11:40 AM

সামনেই পুজো। তাই বেড়াতে যাওয়ার তোরজোড়ও চলছে জোর কদমে। পুজোর সময় বাঙালির বেড়াতে যাওয়ার হিড়িক বেশি। তাই ট্রেনের টিকিট পাওয়াও হয় দুষ্কর। কিন্তু কোথায় যাবেন, সেটা ঠিক করেছেন? এ বছর পুজোতে উত্তরবঙ্গ বা সিকিম যাওয়ার প্ল্যান বাদ দিন। বরং, যেতে পারেন ছত্তিশগড়ে। ছত্তিশগড়েও দর্শনীয় স্থানের অভাব নেই। কিন্তু সেরা গন্তব্য জগদলপুর। ছোটবেলায় ভূগোলের বইতে যেসব জলপ্রপাতের কথা পড়েছিলেন, সেগুলো চাক্ষুষ দেখতে চলে আসুন জগদলপুরে। বর্ষার পরে সবুজে মোড়া পাহাড়, জঙ্গল, নদী, জলপ্রপাত নিয়ে জগদলপুর। কী-কী দেখবেন, রইল তালিকা।

জগদলপুরের আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে চিত্রকূট জলপ্রপাতে। ৩৮ কিলোমিটার দূরে ইন্দ্রবতী নদীতে অবস্থিত চিত্রকূট জলপ্রপাত। জগদলপুরের একদম পশ্চিমে রয়েছে এই জলপ্রপাত। ইন্দ্রবতী নদী ঘোড়ার খুড়ের মতো আকারের সংকীর্ণ পথ পেরিয়ে এসে ৯৫ ফুট উচ্চতা থেকে উলম্বভাবে পড়েছে নীচে। জলপ্রপাতের সৌন্দর্যের কারণেই চিত্রকূট ভারতের নায়গ্রা বলা হয়। বর্ষাকালেই এই ‘ভারতীয় নায়গ্রা’র ভয়াবহ রূপ দেখা দেয়। তবে, অক্টোবরে বেড়াতে গেলেও নিরাশ হবেন না। চিত্রকূট থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে চিত্রধারা। চিত্রধারা জলপ্রপাতকে ‘মিনি তীর্থগড়’ও বলা হয়। এছাড়া এখানে দেখে নিতে পারেন বস্তার প্রাসাদ, দলপত সাগর, অ্যানথ্রোপলজিক্যাল মিউজিয়াম ইত্যাদি।

জগদলপুর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে তীর্থগড় জলপ্রপাত। কাঙ্গের ভ্যালি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত এই জলপ্রপাত। তারই ৬ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কটোমসর গুহা। অক্টোবরে এখানে গেলে রয়েছে জঙ্গল সাফারির সুযোগ। জগদলপুরের পশ্চিমে, ৪৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে মেন্দ্রী ঘুমার জলপ্রপাত। ‘দ্য ফগ ভ্যালি’ উপত্যকার কোলে ৭০ মিটার উঁচু দিয়ে লাফিয়ে পড়ছে জল। এছাড়া আরও প্রায় ৫০ কিলোমিটার গেলে দেখতে পারেন তামার ঘুমার জলপ্রপাত। এখানেও নদীর জল ১০০ ফুট উচ্চতা থেকে পাহাড়ের গা বেয়ে আছড়ে পড়ছে উপত্যকার উপর। এছাড়াও এখানে রয়েছে বিজাকাশা, টোপার, মান্ডওয়া নামে একাধিক জলপ্রপাত। সবগুলোই পাহাড় উপর, জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত।

জলপ্রপাত ছাড়াও কাঙ্গের ভ্যালি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে রয়েছে কয়েকটি গুহা রয়েছে। সেগুলো জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বন্ধ থাকে। বর্ষা চলে গেলেই আবার সেখানে পর্যটকদের ভিড়। কোটুমসার, দণ্ডক, কৈলাশ, মাদারকোন্টার মতো একাধিক গুহা রয়েছে এই অঞ্চলে। এছাড়া ঘুরে দেখতে পারেন দান্তেশ্ব‌রী ও বালাজির মন্দির।

কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন-

হাওড়া থেকে কোরাপুট এক্সপ্রেসে চেপে সোজা জগদলপুর পৌঁছে যেতে পারেন। এছাড়া বিশাখাপত্তনম হয়ে কিরনডুল প্যাসেঞ্জারেও জগদলপুর স্টেশনে নামা যায়। এছাড়া রায়পুর থেকেও গাড়িতে জগদলপুর পৌঁছে যেতে পারেন। জগদলপুরের বাজারের কাছে একাধিক হোটেল পেয়ে যাবেন। এছাড়াও দান্তেশ্বরী মন্দির, বস্তার প্যালেস, দলপত সাগরের আশেপাশে অনেক থাকার জায়গা রয়েছে। সেখানেও রাত কাটাতে পারেন।