গঙ্গা আরতি দেখতে হাজার-হাজার মানুষের ভিড় হয় বারাণসী, ঋষিকেশ, হরিদ্বারের গঙ্গায়। এই গঙ্গা আরতির দৌড়ে এগিয়ে বারাণসীর ঘাট। যদিও গঙ্গা আরতি দেখতে এখন আর বারাণসী যাওয়ার প্রয়োজন নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কলকাতা, হাওড়া সংলগ্ন বিভিন্ন ঘাটে শুরু হয়েছে গঙ্গা আরতি। বারাণসীর মতো নয়, বরং বারাণসীর কায়েদায় এখন নিয়মিত সন্ধেবেলা গঙ্গা আরতি হচ্ছে শহরের বিভিন্ন ঘাটে। সুতরাং, গ্রীষ্মের বিকালে গঙ্গার হাওয়া খেতে গিয়ে সাক্ষী হতে পারেন গঙ্গা আরতির। তবে চমক এখনও বাকি।
মার্চ মাসের গোড়ার দিকে বাজেকদমতলা ঘাটে গঙ্গা আরতি শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই যে সেখানে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে, তা নয়। কিন্তু গঙ্গা আরতি শোভা বাড়াতে এবং শহরবাসীর নজর কাড়তে ক্রুজ পরিষেবা চালুর করেছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ ক্রুজে বসে যেমন গঙ্গা ভ্রমণের আনন্দ নিতে পারবেন, তেমনই দেখতে পারবেন গঙ্গা আরতি। মূলত গঙ্গা আরতি দেখার জন্য নতুন ক্রুজ পরিষেবা শুরু করেছে রাজ্য পর্যটন দফতর। গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় গঙ্গার ফুরফুরে হাওয়া আর তার সঙ্গে ক্রুজ পরিষেবা, এর টানেই পর্যটকদের ভিড় বাড়বে এখানে। রাজ্য পর্যটন শিল্পে জোয়ার আনতে চলেছে এই ক্রুজ পরিষেবা।
১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে গঙ্গাবক্ষে এই ক্রুজ পরিষেবা। সন্ধে ৬টায় শুরু হবে নৌকাবিহার। সন্ধে ৭টা পর্যন্ত আপনি ক্রুজে চেপে ঘুরতে পারবেন গঙ্গাবক্ষে এবং দেখতে পাবেন গঙ্গা আরতি। এই ১ ঘণ্টায় আপনাকে গঙ্গাবক্ষে ঘুরিয়ে দেখানো গঙ্গা আরতি। ক্রুজে চেপে গঙ্গা আরতি দেখার জন্য আপনি অনলাইনে টিকিট কাটতে পারবেন। রাজ্য পর্যটন নিগমের অনলাইন সাইটে গিয়ে আপনি এই অনলাইন টিকিট কাটতে পারবেন। মাথাপিছু ১০০ টাকা টিকিট।
নিউ বাবুঘাট জেটি থেকে এই ক্রুজ যাত্রা শুরু হবে। এবং যাত্রা শেষ হবেও বাবুঘাটে। এই ক্রুজ ভ্রমণের জন্য আপনাকে আগে থেকে অনলাইনে টিকিট কাটতে হবে। যেহেতু সন্ধে ৬টায় বাবু ঘাট থেকে ক্রুজ ছাড়বে, তাই ৫.৪৫-এ আপনাকে সেখানে পৌঁছে যেতে হবে। ক্রুজ পরিষেবায় আসন সংখ্যা সীমিত। একসঙ্গে ২৫ জন ক্রুজে চেপে দেখতে পারবেন গঙ্গা আরতি। যাত্রীদের জন্য ক্রুজ ভ্রমণে চা-স্ন্যাক্সসের সুবিধা রয়েছে। সুতরাং, ক্রুজে চেপে গঙ্গা আরতি দেখার সুযোগ হাত ছাড়া করবেন না।