
আমের মরশুম প্রায় শেষের দিকে। আর মাত্র কয়েকদিনই পাওয়া যাবে ফলের রাজাকে। তাও সব দোকানে আর এখন আম রাখছে না। আবার অপেক্ষা এক বছরের। কিন্তু যদি বলি এই অপেক্ষা না করে সারা বছর আম খেতে পারবেন? এমন এক উপায় আছে যাতে আম সারাবছর খেতে পারেন।
কিছু নির্দিষ্ট রেসিপি আছে, যেগুলো একবার তৈরি করে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে বছরজুড়ে খাওয়া যায় আম। এতে সারা বছর ধরেই উপভোগ করতে পারবেন এই মিষ্টি ফলের স্বাদ। রইল সেই সহজ রেসিপি।
আমের পাল্প ফ্রিজে রাখা: আম সংরক্ষণের সবচেয়ে সহজ উপায় হল এর পাল্প ফ্রিজে রাখা। আমের শাঁস বের করে নিয়ে ব্লেন্ড করে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর এয়ারটাইট ফ্রিজার ব্যাগ বা আইস কিউব ট্রেতে ভরে রেখে দিন। পরে এগুলো দিয়ে সহজেই বানাতে পারবেন স্মুদি, মিল্কশেক বা ডেজার্ট।
ঘরে বানানো আমরস: এই ভারতীয় রেসিপির জবাব নেই। পাকা আমের সঙ্গে সামান্য এলাচ এবং দুধ বা জল মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। তারপর ফ্রিজারে-সেফ কন্টেনারে ভরে রাখুন। চাইলে সারা বছর সহজেই উপভোগ করতে পারবেন তৈরি আমরস।
আমের জ্যাম বা চাটনি: পাকা আম দিয়ে চিনি আর লেবুর রস মিশিয়ে জ্যাম তৈরি করা যায়। এটি ঘন এবং মাখবার মতো হয় এবং জীবাণুমুক্ত বোতলে রেখে মাসের পর মাস সংরক্ষণ করা যায়। অন্যদিকে, নোনতা স্বাদের জন্য আম মশলা, লঙ্কা ও ভিনিগার দিয়ে রান্না করে চাটনি বানানো যায়।
শুকনো আমের টুকরো: রোদে শুকনো বা ডিহাইড্রেটেড আমের টুকরো শুধু যে দারুণ স্ন্যাকস তাই নয়, রান্নার জন্যও বেশ কাজে লাগে। কাঁচা আমের টুকরো শুকিয়ে নিয়ে পরে গুঁড়ো করলে আমচুর পাওয়া যায়। এটি সারা বছর তরকারি, চাট বা চাটনিতে টক স্বাদ আনতে কাজে লাগে।
আমের আচার: টক–ঝাল স্বাদের আমের আচার একেবারেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী। কাঁচা আম, সর্ষের তেল আর ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় মশলা দিয়ে তৈরি আচার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও সুস্বাদু হয়ে ওঠে। ভাত, পরোটা বা ডাল-ভাত—সবকিছুর সঙ্গেই জমে যায় এই আচার।