ব্যাচেলরদের রান্নাঘরেও দেখা মেলে হলুদের। এই এমন একটি উপাদান, যাকে ছাড়া খাবারই অসম্পূর্ণ। আবার রূপচর্চাতেও হলুদের কদর সবচেয়ে বেশি। ব্রণ থেকে ট্যান, ত্বকের হাজারো সমস্যা দূর করতে সহায়ক হলুদ। কিন্তু কখনও হলুদ দিয়ে চুলের যত্ন নিয়েছেন কি? চুল পড়া, খুশকি, চুলের বৃদ্ধি ঘটানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে হলুদ। চুলের একগুচ্ছ সমস্যার সমাধান রয়েছে হলুদের মধ্যে।
হলুদের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা স্ক্যাল্পের প্রদাহ কমায়। এতেই কমে চুল পড়া, স্ক্যাল্পে চুলকানি ও খুশকির সমস্যা। হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের ফলিকলকে ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে, হলুদ স্ক্যাল্পে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান হিসেবেও কাজ করে। এটি ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং খুশকিকে প্রতিরোধ করে। স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য গঠনের মাধ্যমে হলুদ সুন্দর ও মজবুত চুল গঠন করে। কিন্তু কীভাবে হলুদকে ব্যবহার করবেন চুলের যত্নে?
হলুদের শ্যাম্পু: আপনি প্রতিদিন যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন, তাতেই ১ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। হলুদ মেশানো শ্যাম্পু স্ক্যাল্প পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে। এতে চুলের বৃদ্ধিও হবে দ্রুত।
হলুদের তেল: ১/৪ কাপ নারকেল তেলের সঙ্গে ১ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। শ্যাম্পু করার ৩০ মিনিট আগে এই তেল স্ক্যাল্প ও চুলে মালিশ করুন। এটি চুলকে নরম করে তুলতে সাহায্য করবে।
হলুদের হেয়ার মাস্ক: ১/২ কাপ টক দইয়ের সঙ্গে ২ চামচ অলিভ অয়েল ও ২ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণটি চুল ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার মাস্ক কমাবে চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা।
হলুদের জল: ১ কাপ জলে ১ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে টনিক বানিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই হলুদের জল চুলে ঢালুন। এরপর কয়েক মিনিট অপেক্ষা থাকুন। এরপর আবার সাধারণ জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।