
বগলের অবাঞ্চিত তুলতে বেশিরভাগ মহিলাই ওয়াক্সিংয়ের সাহায্য নেন। আবার অনেকে ব্যথা এড়াতে রেজার দিয়েই কাজ চালান। কিন্তু রেজ়ার ব্যবহার করলে ৩-৪ দিনের মধ্যে আবার লোম গজাতে শুরু করে। ফলে, আপনাকে ঘন ঘন রেজ়ার ব্যবহার করতে হবে। ওয়াক্সিং হোক বা রেজ়ার, বগলের উপর ঘন ঘন কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করলে চামড়া কালো হয়ে যায়। অর্থাৎ, ওই অংশে মেলানিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন বিশ্রী আন্ডারআর্মস নিয়ে হাতকাটা বা অফ-শ্লোডার জামা পরা যায় না। এই অবস্থায় কী করবেন, শেভিং করা ছেড়ে দেবেন? একদম নয়। বরং, বগলের বিশ্রী কালো দাগ কীভাবে দূর করা যায়, তার উপায় খুঁজে নিন।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার: এক চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি বগলে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিন দিন এই টোটকা কাজে লাগান। অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে থাকা ক্ষারীয় উপাদান মৃত কোষ দূর করে এবং বগলের কালো দাগ দূর করে।
অ্যালোভেরা জেল: একটা অ্যালোভেরা পাতা কেটে নিন। এর থেকে জেল বের করে নিন। এই তাজা অ্যালোভেরা জেল ১০-১৫ মিনিট আন্ডারআর্মসে লাগিয়ে রাখুন। তারপর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ভেষজ অ্যালোভেরা জেল পিগমেনটেশনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। একদিন অন্তর আপনি এই টোটকা কাজে লাগাতে পারেন।
হলুদ: ১ চামচ হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে ১ চামচ দুধ ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে বগলে লাগান। এবার এই মিশ্রণটি শুকনো হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। ১০-১২ মিনিট অপেক্ষা করলেই হয়ে যাবে। সপ্তাহে দু’বার এভাবে হলুদ ব্যবহার করলেই আপনি ফল পাবেন। হলুদ ত্বকের টোন উন্নত করে এবং দাগছোপ দূর করে। অন্যদিকে, দুধেও ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা বগলের দাগছোপ দূর করে। হলুদের সঙ্গে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলেও আপনি উপকার পাবেন।
লেবুর রস: একটা পাতিলেবু গোল-গোল করে কেটে নিন। এবার এটা বগলে ঘষে নিন। এছাড়া আপনি ১০ মিনিট লেবুর রস বগলে লাগিয়ে রাখতে পারেন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন লেবুর রস বগলে রাখতে পারেন। লেবুর রসের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে, যা প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে। এছাড়া এতে থাকা ব্লিচিং এজেন্ট কালো দাগছোপ দূর করে।