
ত্বকের যত্ন নিতে অনেকে নানা ধরনের দামী দামী স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন। কেউ মাখেন লোশন কেউ ব্যবহার করেন ময়শ্চারাইজার। আবার কেউ কেউ এই সব কেমিক্যাল মিশ্রিত উপাদানে ভরসা না রেখেই বেছে নেন নানা ধরনের ঘরোয়া টোটকা। ঠিক তেমনই এক টোটকার কথা বলব এই প্রতিবেদনে।
আমাদের ত্বকের অনেক সমস্যার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায় প্রদাহ। যা দূষণ, স্ট্রেস, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া সহ আরও নানা কারণে জন্ম নেয়। ঠিক তাই ত্বকের জেল্লা ফেরাতে চাইলে প্রথমে যেটা প্রয়োজন তা হল ত্বককে ঠান্ডা করা। সেই কারণে স্কিন কেয়ারে কামাল দেখাতে পারে বরফ। অনেকই হয়তো জানেন মুখে বরফ শেক দেওয়ার কথাও বলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কী ভাবে বরফ ত্বকের পরিচর্যায় কাজ করে? কী উপকার হয়? জানুন সবটা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন মুখে বরফ ঘষলে এটি শুধু ত্বকের জন্যই নয়, শরীরের অতিরিক্ত গরমভাব কমাতেও কার্যকর। বরফ মুখে দিলে শুধু ঠান্ডা অনুভূতি হয় না বরং নানা ধরনের ত্বকের সমস্যারও সমাধান করে। আজকাল অনেক বিউটি এক্সপার্টও স্কিনকেয়ার রুটিনে আইস থেরাপি যোগ করার পরামর্শ দেন।
কীভাবে মুখে বরফ লাগাবেন?
মনে রাখবেন, কখনও সরাসরি বরফ ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়। বরফকে সবসময় পাতলা সুতির কাপড়ে মুড়ে মুখে লাগাতে হবে। একটানা ১–২ মিনিটের বেশি মুখে বরফ দেওয়া উচিত নয়। সপ্তাহে ৪–৫ বার এই বরফ থেরাপি করলেই যথেষ্ট। অতিরিক্ত করলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবন থাকে।
মুখে বরফ ঘষলে কী কী উপকার হয়?
১। সানবার্ন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গরমে রোদে পুড়ে ত্বক জ্বলে যায়। সেই অবস্থায় মুখে বরফ দিলে সানবার্ন থেকে আরাম মেলে এবং ত্বক ঠান্ডা হয়।
২। মুখের ফোলা ভাব কমায় বরফ। বরফের ঠান্ডাভাব রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত করে। ফলে অতিরিক্ত তরল বেরিয়ে যায়, যা সকালের ফোলা ভাব (puffiness) কমাতে সাহায্য করে।
৩। ব্রণ থেকে আরাম দেয়। বরফ মুখের প্রদাহ কমায়। মুখে যদি ব্রণ বা পিম্পল থাকে, বরফ দিলে তা থেকে আরাম পাওয়া যায় এবং ব্যথাও কমে।
৪। মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হয়। মেকআপ দেওয়ার আগে বরফ ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ হয় এবং মেকআপ অনেকক্ষণ টিকে থাকে। এছাড়া এটি মেকআপের আগে প্রাইমারের কাজও করে।
৫। ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বরফ রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যার ফলে মুখে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও সতেজতা আসে।