‘অফবিট’ জায়গায় বেড়াতে ভালবাসেন? আপনার জন্য রইল উত্তরকাশীর কিছু অজানা-অচেনা জায়গায় হদিশ
আগে থেকে পরিকল্পনা করে গেলে নিঃসন্দেহে আপনার উত্তরকাশী ট্রিপ হতে পারে রোমাঞ্চকর।
অফবিট জায়গায় ঘুরতে ভালবাসেন এমন পর্যটকদের কাছে উত্তরকাশী বরাবরই পছন্দের ডেস্টিনেশন। দেবভূমি থেকে জঙ্গল, পাহাড় থেকে নদী— এ জায়গায় হদিশ পাওয়া যায় সবকিছুরই। আগে থেকে পরিকল্পনা করে গেলে নিঃসন্দেহে আপনার উত্তরকাশী ট্রিপ হতে পারে রোমাঞ্চকর। ভ্রমণ প্রেমীদের জন্য রইল উত্তরকাশীর বেশ কয়েকটি অফবিট জায়গার খোঁজ।
কাশী-বিশ্বনাথের মন্দির (এই জায়গা অবশ্য বহুল পরিচিত)
উত্তরকাশী বেড়াতে যাবেন আর কাশী-বিশ্বনাথের মন্দির দর্শন করবেন না, তাই আবার হয় নাকি! মহাদেবের এই মন্দিরে একবার দর্শন করলেই বুঝতে পারবেন এর মাহাত্ম্য কোথায়। ভাগিরথীর তীরে অবস্থিত এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে অসংখ্য গল্পগাঁথা। দূর-দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা এখানে আসেন শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য। স্থানীয়দের পাশাপাশি আগত পর্যটকদের একটা বড় অংশের বিশ্বাস এই মন্দির খুবই জাগ্রত। মন থেকে কিছু চাইলে মহাদেব তাঁর ভক্তকে খালি হাতে ফেরান না। তবে মন্দিরের পাশাপাশি এই চত্বরের আর একটি আকর্ষণ ভাগিরথী এবং মন্দিরের চারপাশ জুড়ে থাকা সুবিশাল পর্বতশ্রেণি।
বারসু গ্রাম
শহুরে কোলাহল থেকে একদম নিশ্চুপ কোনও জায়গায় ছুটি কাটাতে চাইলে, উত্তরকাশীর এই বারসু গ্রাম আপনার জন্য আদর্শ। ঘন সবুজ জঙ্গল আর পাহাড়ে ঘেরা এই গ্রামে যেমন রয়েছে রহস্য-রোমাঞ্চ, তেমনই রয়েছে এক অদ্ভুত প্রশান্তি। সামান্য কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে এই গ্রামে। তবে আতিথেয়তার কোনও খামতি নেই। এইসব হোমস্টের জন্য অনলাইনেই বুকিং করতে পারবেন। পাকা সড়কপথ ধরেই পৌঁছন যায় গ্রামে। Dyara Bugyal এবং Gidara Bugyal, এই দুই ট্রেকিংয়ের জন্য বারসু গ্রাম বিখ্যাত ক্যাম্প ডেস্টিনেশন।
মানেরি ড্যাম
ভাগিরথীর তীরেই রয়েছে এই মানেরি বাঁধ। মূলত, উত্তরকাশী ড্যামের জল একটি বড় টানেলে এসে পড়ে। সেখানে রয়েছে একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই পাওয়ার স্টেশন Maneri Bhali Hydroelectric Project- এর অংশ। ১৯৬০ সালে তৈরি হয়েছিল এই প্রকল্প। এরপর ১৯৮৪ সালে বাঁধ নির্মিত হয়। এখানকার চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ নৈসর্গিক বললেও অনুচিত হবে না। স্থানীয়রা হামেশাই এখানে পিকনিক এবং বোটিং করতে আসেন। ভিড় জমান পর্যটকরাও।
সঙ্গম চটি
সঙ্গম চটি আসলে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়ার একটি সরু রাস্তা। চারপাশে সবুজ চাষের খেত। মাঝে মাঝে ঘন জঙ্গল। তারপর আবার চোখ জুড়ানো সবুজ মখমলের মতো উপত্যকা। সেই সঙ্গে দেখতে পাবেন ছোট ছোট গ্রাম। সেইসব গ্রাম আবার পাহাড় দিয়ে ঘেরা। এই রাস্তা ধরে ২ কিলোমিটার মতো হাঁটলে আপনি পৌঁছে যাবেন ভেব্রা গ্রামে। রাজমা চাষের জন্য এই গ্রাম বিখ্যাত। থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে এই গ্রামে। অতএব একরাত অনায়াসেই থাকতে পারবেন আপনি। পরের দিন আবার ট্রেক করে নেমে আসতে হবে।