
তিনি যার সহায় হন তাঁকে মারা ভগবানের অসাধ্য। তিনি স্বয়ং বজরংবলি হনুমান। বুন্দেলখণ্ডের পান্নার পাওয়াইতে রয়েছে সেই বজরংবলির এক প্রাচীন মন্দির। শ্রী হনুমান ভাটায়। কথিত এই মন্দিরেই রয়েছে আপনার সব সুখের চাবিকাঠি। চান্দেল যুগে পূর্ণাঙ্গ পাথরের তৈরি একটি হনুমানের মূর্তিও রয়েছে এই মন্দিরে। বজরংবলির সঙ্গেই প্রতিষ্ঠিত আছেন নৃসিংহ এবং মহাকালও। কথিত এই মন্দিরে ৫ মঙ্গলবার গিয়ে নিয়ম করে পুজো করলে পূরণ হয় সব মনবাঞ্ছা। প্রতি শনি-মঙ্গলবারে এখানে ভিড় জমান হাজার হাজার ভক্ত। স্থানীয়দের বিশ্বাস, যে ব্যক্তি সরল মনে মন থেকে হনুমানজির কাছে কোনও প্রার্থনা করেন তাঁর মনবাঞ্ছাও পূরণ হয়। বিশ্বাস, ৫ মঙ্গলবার এই মন্দিরে গেলে সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। নাশ হয় সব দুঃখ দুর্দশার।
বুন্দেলখণ্ডের পান্না জেলার পাওয়ে তহসিলের মোহন্দ্রা রোডের দুর্গম পাহাড়ে রয়েছে বজরংবলির এই মন্দির। ভক্তদের কাছে শ্রী হনুমান ভাট ধাম নামে পরিচিত এই মন্দির। দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন এই মন্দিরে। মানুষের বিশ্বাস, এখান থেকে কেউ খালি হাতে ফেরেন না।
কেবল অলৌকিক বিশ্বাস নয়, চান্দেল আমলে তৈরি এই মন্দিরের অসাধারণ সব ভাস্কর্য দেখার মতো। হনুমানজির মূর্তির সঙ্গে রয়েছে মহাকাল, নরসিংহজির পাথরের মূর্তিও। রয়েছে রাধা রানী, শ্রী রাম জানকীর মন্দিরও। ধুলিয়া মঠ, সিদ্ধ মহারাজের সমাধি, মাতা কালেহির প্রাচীন মন্দির এবং ভগবান শঙ্করের প্রাচীন মন্দিরও রয়েছে এখানে। যার অপরূপ ভাস্কর্য মুগ্ধ করবে আপনাকে।
সর্বোপরি এই স্থানের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মুগ্ধ করবে প্রকৃতি প্রেমীদেরও। যদিও সারা বছরই এখানে ভক্তদের আগমন লেগেই থাকে। তবে প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে এখানে একটি বিশাল মেলা বসে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমান হনুমানজির দর্শন পেতে। কথিত, যে ব্যক্তি টানা ৫টি মঙ্গলবার বজরঙ্গ বলির চরণে দর্শন করে, তার ইচ্ছা অবশ্যই পূর্ণ হয়।