
দুর্গাপুজোর আগে নিজের ফ্যাশন স্টেটমেন্টে বদল আনবেন ভাবছেন? সেই কারণে অনেকেই চুলে নতুন রং করান। আপনিও রং বদলাবেন ভাবছেন? সমস্যা হল চুলের রং খুব তাড়াতাড়ি ফিকে হয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে এই রং অনেক দিন টিকে থাকে। রইল সেই টিপস।
১. চুল ধোয়ার আগে অন্তত ২–৩ দিন অপেক্ষা করুন – রং করার পরপরই শ্যাম্পু করলে রঙের কণা চুলের ভেতরে পুরোপুরি বসতে পারে না। ফলে খুব দ্রুত রং ফিকে হয়ে যায়। তাই রং করার অন্তত ৪৮–৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত চুল না ধোয়া ভালো। এতে কিউটিকলস ভালভাবে সিল হয়ে যায় এবং রঙ স্থায়ী হয়।
২. সালফেট – মুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন – বাজারে বেশিরভাগ শ্যাম্পুতেই সালফেট থাকে, যা চুল পরিষ্কার করলেও রং দ্রুত ফিকে করে ফেলে। তাই রং করার পর বিশেষভাবে কালার-প্রটেক্ট শ্যাম্পু ব্যবহার করা জরুরি। কন্ডিশনার অবশ্যই লাগাতে হবে, কারণ এটি চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং রংয়ের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে।
৩. গরম জল এড়িয়ে চলুন – অনেকেই গরম জলে চুল ধোয়ার অভ্যাসে অভ্যস্ত, কিন্তু রং করা চুলে এটি সবচেয়ে ক্ষতিকর। গরম জল কিউটিকলস খুলে দেয়, ফলে রঙ দ্রুত বেরিয়ে যায়। তাই সবসময় কুসুম গরম বা ঠান্ডা জলে চুল ধোয়া উচিত। এতে রং দীর্ঘদিন উজ্জ্বল থাকে।
৪. হিট-স্টাইলিং কমান – স্ট্রেটনার, কার্লার কিংবা হেয়ার ড্রায়ারের অতিরিক্ত ব্যবহার চুলের রং নষ্ট করে দেয়। উচ্চ তাপমাত্রা শুধু রংকেই ফিকে করে না, বরং চুলকেও শুষ্ক ও রুক্ষ বানিয়ে ফেলে। যদি ব্যবহার করতেই হয়, তবে আগে হিট-প্রটেক্ট স্প্রে লাগিয়ে নিন।
৫. সূর্যের আলো এবং দূষণ থেকে চুলকে রক্ষা করুন – সরাসরি রোদে বেশি সময় থাকলে UV রশ্মি রঙের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয়। তাই বাইরে বেরোনোর সময় স্কার্ফ বা টুপি দিয়ে চুল ঢেকে রাখা ভাল। এছাড়া নিয়মিত হেয়ার সিরাম বা লিভ-ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করলে দূষণ ও ধুলো থেকে চুল সুরক্ষিত থাকে।
এছাড়াও সপ্তাহে একবার ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা ভাল। অ্যালকোহলযুক্ত স্টাইলিং প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলুন। রঙ করা চুলের জন্য নিয়মিত তেল ম্যাসাজ করলে শুষ্কতা দূর হয় এবং চুলের সৌন্দর্য টিকে থাকে।