তরমুজ দিয়েই এবার ত্বকের যত্ন নিন, পলকে দূর হবে হাজার সমস্যা
হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ তরমুজে এমন অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের যত্নে সেরা। এই মরশুমে আপনি তরমুজ থেকে অনেক ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন।

গরমের মরসুমে ত্বকের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ট্যানিং। ট্যানিং এর কারণে মুখ কালো হয়ে যায় এবং সেই সঙ্গে নিস্তেজ হতে শুরু করে। এর পাশাপাশি ত্বকে সিবাম তেলের পরিমাণ বেশি হলে গ্রীষ্মকালে এই সমস্যা আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বক হাইড্রেটেড রাখলে তা ট্যানিং এবং অন্যান্য সমস্যা থেকে দূরে থাকে। এই ক্ষেত্রে আপনি ত্বককে সুন্দর রাখার জন্য তরমুজের সাহায্য নিতে পারেন। হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ তরমুজে এমন অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের যত্নে সেরা। এই মরশুমে আপনি তরমুজ থেকে অনেক ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন।
কীভাবে? চলুন দেখে নেওয়া যাক…
তরমুজ এবং শসা
এই দুটি উপাদানই অত্যধিক হাইড্রেটেড এবং এই কারণে এগুলি ত্বক ছাড়া স্বাস্থ্যের জন্যও সেরা বলে বিবেচিত হয়। গরমকালে এই দুটি ফলই আমাদের স্বাস্থ্য ও ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। এর ফেসপ্যাক তৈরি করতে, তরমুজ ও শসাকে গ্রেট করে একটি পাত্রে এর রস বের করে নিন। এর ওই রস ছোট ছোট কিউব আকারে ফ্রিজে রেখে দিন। বরফ জমে গেলে ওই কিউব বের করে ত্বকে ঘষুন। এরপর কিছু এটা ত্বকে রাখুন, তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
তরমুজ এবং দই
তরমুজ যেখানে ত্বককে হাইড্রেট করবে, সেখানে দই ত্বকে থেকে ট্যান দূর করবে। একটি পাত্রে দুই চামচ দই নিয়ে তাতে তিন চামচ তরমুজের রস মেশান। এই প্যাক মুখে লাগানোর পর আধ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের বলিরেখাও দূর করা যায় এই ফেসপ্যাক দিয়ে। আপনি চাইলে সপ্তাহে দুইবার এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
তরমুজ এবং দুধ
দুধে বিদ্যমান বৈশিষ্ট্যের কারণে একে প্রাকৃতিক ক্লিনজারও বলা হয়। সঠিক উপায়ে এবং নিয়মিত মুখে দুধ লাগালে কয়েকদিনের মধ্যেই ত্বক উজ্জ্বল হতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, তরমুজের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে মুখে লাগালে দ্বিগুণ উপকার পাওয়া যায়। এর জন্য একটি পাত্রে তিন চামচ দুধ নিয়ে তাতে দুই চামচ তরমুজের রস মিশিয়ে নিন। প্রায় ১৫ মিনিটের জন্য এই ফেসপ্যাকটি মুখে রেখে তারপর হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। এরপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলেই আপনি পেয়ে যাবেন উজ্জ্বল ত্বক।
