
টক, মিষ্টি, কষা — ছোট্ট এই ফলটা হয়তো অনেকের পছন্দের তালিকায় নেই। কিন্তু জানেন কি, সেই চেনা টক স্বাদের আমড়া আসলে এক অসাধারণ প্রাকৃতিক ওষুধ! গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা, শরীরের রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ত্বক ও চুলের যত্ন, সবেতেই লুকিয়ে আছে আমড়ার উপকারিতা। একসময় গ্রামের পথে পথের ধারে দেখা যেত গাছভরা আমড়া, এখন শহুরে বাজারেও এর কদর বাড়ছে দিনে দিনে। চলুন জেনে নিন এর উপকারিতা কী কী, কখন খেলে ভাল ফল মিলবে।
ভিটামিন C-এ ভরপুর আমড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করে, সর্দি-কাশি, ভাইরাল সংক্রমণ দূরে রাখে।
আমড়ার টকভাব পেটের হজম রস বাড়ায়, গ্যাস, অম্বল ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
নিয়মিত আমড়া খেলে ত্বকে আসে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে রাখে টাইট ও তরতাজা।
আমড়ার রস চুলের গোড়া মজবুত করে। এর ভিটামিন C কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
কম ক্যালরিযুক্ত ও উচ্চ ফাইবারসমৃদ্ধ এই ফল পেট ভরিয়ে রাখে, অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে আমড়া।
আমড়ার রস লিভারের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে, টক্সিন দূর করে দেয়।
আমড়ার টক ভাব মুখের ব্যাকটেরিয়া কমায়, মাড়ি মজবুত রাখে এবং দুর্গন্ধ দূর করে।
গ্রীষ্মে এক গ্লাস আমড়ার শরবত শরীরকে ঠান্ডা রাখে, ক্লান্তি ও ডিহাইড্রেশন কমায়।
সকালে বা দুপুরে খাবারের আগে খাওয়া আমড়া খাওয়া শ্রেয়। এতে হজম ভাল হয় এবং ভিটামিন C শরীরে দ্রুত শোষিত হয়। খালি পেটে অতিরিক্ত আমড়া খাওয়া ঠিক নয়। এর ফলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। গরমের দিনে ঠান্ডা আমড়ার শরবত বা স্যালাডে বা টুকরো করে কেটে খেলে শরীর সতেজ থাকে।
ছোট্ট এই টক ফলের ভেতর লুকিয়ে আছে প্রকৃতির অমূল্য স্বাস্থ্যধন। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় আমড়া রাখলে শুধু স্বাদ নয়, শরীরও থাকবে ফ্রেশ ও সক্রিয়। তাই যদি এতদিন কেউ আমড়া না খেতেন, তাঁরাও শুরু করুন এটি খাওয়া।