‘বুড়ো বয়সে ভীমরতি হয়েছে’, মাঝে মাঝেই আমরা এই কথা বলে থাকি! বয়স্ক কোনো ব্যক্তি যদি শিশু সুলভ আচরণ করেন তখন আমরা এই কথা বলে থাকি। তবে আসলে কী এই ভীমরতি? কোথা থেকে এল ভীমরতি? কেন বলা হয় ভীমরতি হয়েছে? ভীমরতি মানেই বা বাস্তবে কী, জানেন?
অভিধান ঘাঁটলে ভীমরতি কথার যে অর্থ খুঁজে পাওয়া যায় তা হল কান্ড জ্ঞানহীন যে বা বার্ধক্যজনিত নির্বুদ্ধিতা। ভীম যুক্ত রতি এই নিয়ে ভীমরতি। ভীম অর্থাৎ ভীষণ। রতি অর্থাৎ রাত্রি। ভীষণ রাত্রি, যা মানুষের শেষ জীবনকে নির্দেশ করে।
তবে ভীমরতি কথার উল্লেখ রয়েছে পুরাণেও। পুরাণ অনুসারে সাতাত্তর বছর সাত মাসের সপ্তম রাত্রিকে বলে ভীমরতি। মনে করা হয় এই রাতের পরেই মানুষের জীবনে এক বিশাল পরিবর্তন আসে। এই বয়সে অনেক মানুষ শিশুর মতো অবোধ আর যুবকের মতো কান্ডজ্ঞানহীন আচরণ করে। স্বাভাবিকের থেকে আচরণে এক ধরনের অস্বাভাবিকতা আসে। এমন কান্ড জ্ঞানহীন আচরণকেই ভীমরতি বলে। তাই অন্য কেউ নির্বোধের মতো আচরণ করলে তাকে ভীমরতি করা বলে।
ভীমরতি সম্পর্কিৎ অন্য একটি মানেও প্রচলিত রয়েছে। ভীম মানে অতি বা ভীষণ আগেই বলেছি। রতি শব্দের আরেকটি অর্থ হল যৌনক্ষুধা। অর্থাৎ ভীমরতি মানে হল অতিরিক্ত যৌন ক্ষুধা।
বয়স বাড়লে পুরুষদের প্রস্টেট ক্যানসার বা প্রস্টেট টিউমারের আশঙ্কা বাড়ে। প্রস্টেট টিউমার হলে অনেক সময় যৌন উত্তেজক হরমোন ক্ষরণ হয়। তখন বৃদ্ধ বয়সে যৌন উত্তেজনা বেড়ে যায়। এই ঘটনাকেও অনেকে ‘বুড় বয়সে ভীমরতি হয়েছে’ বলেন।