
চুলের যত্নের ক্ষেত্রে অনেকে আজকাল বাজারচলতি সিরাম, কন্ডিশনার বা হেয়ার অয়েলের দিকে ঝুঁকছেন। সর্ষের তেলকে অনেকেই এড়িয়ে যান, কারণ এর চিটচিটে ভাব অস্বস্তি তৈরি করে। তবে প্রাচীনকাল থেকেই চুলের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের জন্য সর্ষের তেলের (Mustard Oil) ব্যবহার হয়ে আসছে। গবেষণা বলছে, নিয়মিত সঠিকভাবে সর্ষের তেল ব্যবহার করলে চুল থাকে মজবুত, ঘন ও সুস্থ।
চুল পড়া কমায় – সর্ষের তেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা মাথার ত্বক পুষ্ট করে ও চুল পড়া রোধ করে।
চুল ঘন ও মজবুত করে – সর্ষের তেলে থাকা প্রোটিন ও ভিটামিন ই চুলের গোড়াকে শক্তিশালী করে।
খুশকি দূর করে – সর্ষের তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ রয়েছে। যা খুশকি ও মাথার ত্বকের সংক্রমণ দূর করে।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় – সর্ষের তেল হালকা গরম করে মালিশ করলে স্ক্যাল্পে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে চুল দ্রুত বাড়ে।
প্রাকৃতিক কন্ডিশনার – সর্ষের তেল চুলে আর্দ্রতা ধরে রাখে। যার ফলে চুল থাকে নরম ও উজ্জ্বল। তাই এই তেলকে প্রাকৃতিক কন্ডিশনারও বলা হয়।
অকালপক্কতা রোধ করে – সর্ষের তেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুল পাকার গতি কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চুলকে আংশিক সুরক্ষা দেয় সর্ষের তেল।
সর্ষের তেল হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। অন্তত ৩০ মিনিট রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২–৩ দিন ব্যবহার করলে চুলের গুণগত মান দৃশ্যগতভাবে উন্নত হবে। চুলে সর্ষের তেল দিলে চিটচিটে ভাব হয়, তা ঠিক। কিন্তু এর যা গুণাবলী, তাতে সর্ষের তেল মাথায় মাখলে ঘন, কালো, উজ্জ্বল চুল পাওয়া যায়। তা নিয়মিত ব্যবহার করলে প্রাকৃতিকভাবে চুল সুন্দর ও সুস্থ থাকে।