
সেই ছোটবেলা থেকে আমরা সকলেই জেনে এসেছি মরুভূমির জাহাজ উট। আর এই উটের দুধ যে এখন আধুনিক স্কিনকেয়ারের জগতে একটি ‘সুপার-ইনগ্রেডিয়েন্ট’ হিসেবে উঠে এসেছে, তা অনেকের অজানা। উটের দুধের সাবান (Camel Milk Soap) এখন সৌন্দর্যপ্রেমীদের কাছে খুব জনপ্রিয়। কারণ এর প্রাকৃতিক উপাদানগুলি ত্বকের জন্য সত্যিই কার্যকরী। চলুন জেনে নেওয়া যাক উটের দুধের তৈরি সাবান মাখলে ত্বকের কী কী উপকার হয়।
উটের দুধে প্রচুর পরিমাণে ল্যানোলিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই উপাদানগুলি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে আর্দ্রতা ধরে রাখে। যার ফলে ত্বক দীর্ঘ সময়ের জন্য নরম এবং কোমল থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই সাবান খুবই উপযোগী।
উটের দুধে রয়েছে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (AHA) এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড। যা মৃদু এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। এর ফলে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়। এবং নতুন কোষ তৈরি হতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক সতেজ হয় এবং বার্ধক্যের ছাপ বা বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
উটের দুধের সাবানের পিএইচ মাত্রা মানুষের ত্বকের পিএইচ স্তরের খুব কাছাকাছি। তাই এটি ত্বককে শুষ্ক করে না। প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে না। নানা চর্মরোগ – একজিমা, সোরিয়াসিস বা খুব সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এই সাবান অত্যন্ত আরামদায়ক।
এটি ভিটামিন সি, ডি, ই এবং বি-গ্রুপের ভিটামিন সমৃদ্ধ। এতে গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল যেমন – ক্যালসিয়াম ও জিঙ্ক রয়েছে। ভিটামিন সি ত্বককে উজ্জ্বল করে ও কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বক টানটান হয়।
উটের দুধে থাকা ইমিউনোগ্লোবুলিন এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বকের লালচে ভাব, জ্বালা ও ফোলা কমাতে সাহায্য করে। ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য প্রদাহজনিত সমস্যার জন্য এটি কার্যকর।
এতে প্রাকৃতিকভাবে উপস্থিত অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদানগুলি ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া এবং অন্যান্য সংক্রমণ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
নিয়মিত ব্যবহারে তফাৎ নজরে পড়বে। উটের দুধের সাবান ত্বকের টোন উন্নত করতে পারে এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
উটের দুধের সাবানটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বজায় রেখে গভীরভাবে পরিষ্কার করে, ফলে স্নানের পর ত্বকে টানটান বা রুক্ষ অনুভূতি আসে না।
বেশিরভাগ ভাল মানের উটের দুধের সাবান প্রাকৃতিক হয়। এতে সালফেট, প্যারাবেন বা ক্ষতিকর রাসায়নিক কম ব্যবহার করা হয়।