প্রিয়জন কাছে থাকলে অনেকের মন ভালো হয়ে যায়। তেমনই সেই মানুষটাকে চুমু খেলে মন যেন ঠিক ‘দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি’ হয়ে যায়। প্রিয় মানুষটার পরিস্থিতি সারাদিনের ক্লান্তি ভ্যানিশ করে দেয় যেমন, ঠিক সেই রকমই চুমু যে কোনও ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যও উন্নত করতে পারে। এক ঝলকে জেনে নিন চুমু খাওয়ার কী কী উপকারিতা রয়েছে।
চুমু খেলে শুধু মনই ভালো হয় না, শরীরেরও অনেক উপকার হয়। জেনে নিন চুমু খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা:-
1. স্ট্রেস কমে:
চুমু খাওয়ার সময় শরীরে অক্সিটোসিন নামক একটি হরমোন নিঃসৃত হয়। যাকে ‘লাভ হরমোন’ বলা হয়। এই হরমোন স্ট্রেস কমাতে এবং মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
2. ইমিউনিটি বাড়ায়:
চুমু খাওয়ার সময় লালাগ্রন্থি থেকে যে লালা নিঃসৃত হয়, যাতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবডি থাকে। সেই অ্যান্টিবডি শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
3. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
চুমু খাওয়ার সময় হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। রক্তচাপ কমে। এটি রক্তনালীকে প্রসারিত করে। এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
4. ব্যথা কমায়:
চুমু খাওয়ার সময় শরীরে এন্ডোরফিন নামক একটি রাসায়নিক নিঃসৃত হয়। যা একটি প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে।
5. ত্বকের জন্য উপকারী:
চুমু খাওয়ার সময় মুখের পেশিগুলি ভালো মতো কাজ করে। যা ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করে। এবং বয়সের ছাপ কমাতেও সাহায্য করে।
6. দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো করে:
চুমু খাওয়ার সময় যে লালা নিঃসৃত হয়, তা দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।
7. মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি:
চুমু খেলে একে অপরের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
8. ওজন কমাতে সাহায্য করে:
চুমু খেলে ক্যালোরি খরচ হয়। এটা মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
9. আত্মবিশ্বাস বাড়ায়:
চুমু খেলে যুগলরা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। সামাজিক জীবনও উন্নত হয়।
10. দীর্ঘ জীবন:
নানা গবেষণা অনুযায়ী, নিয়মিত চুমু খেলে সুস্থ থাকার ফলে দীর্ঘ জীবন লাভ হয়। ফলে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য প্যাশনের সঙ্গে চুমু খেতে পারেন সঙ্গীকে।