বিলাসিতায় বিশ্বাসী নন নাগাসাধুরা। সুখ-ভোগের মতো কোনও জিনিসই ব্যবহার করেন না তাঁরা। জীবনে প্রতি পদে কঠোর নিয়ম মেনে চলেন তাঁরা। গোটা বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান হল ভারতের মহাকুম্ভ মেলা। প্রতি চারবছর অন্তর কুম্ভমেলা হলেও প্রতি বারো বছর অন্তর প্রয়াগ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী ও নাসিকে পালিত হয় মহাকুম্ভ বা পূর্ণকুম্ভ। এই মহাকুম্ভের মতো পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য মুখিয়ে থাকেন সাধুসন্তরা। বিশেষ করে নাগাসাধুদের ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। কুম্ভের মত বিশেষ অনুষ্ঠানে দেখা নাগা সাধুরা কুম্ভের পর হঠাৎ কোথায় হারিয়ে যায় তাও ভাবার বিষয়। এ যেন এক রহস্য। সত্যিই কুম্ভ শেষে কোথায় হারিয়ে যান নাগা সন্ন্যাসীরা?
পবিত্র নদী, ধর্মস্থান, তীর্থস্থান ছাড়া বাকি অন্য কোথাও তাঁদের দেখা যায় না। তাহলে কোথায় থাকেন তাঁরা?কী খেয়েই বা থাকেন তাঁরা? যদিও সেই তথ্য় পাওয়া বেশ কঠিন। শোনা যায়, কুম্ভের আগে বা পরে শুধু ভিক্ষা করে বা জঙ্গল ও পাহাড়ে পাওয়া কন্দ ইত্যাদি খেয়ে পেট ভরান তাঁরা। ধ্যান ও অধ্যবসায়ের জেরে দীর্ঘ সময় ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত থাকতে পারেন নাগারা। প্রকাশ্যে আসতে তারা বেশি পছন্দ করেন না। তাই বনের পথ দিয়ে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন তাঁরা। তবে দিনের পরিবর্তে রাতে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তারা। সুখ-ভোগের মত জিনিসপত্র ব্যবহার করেন না। মাটিতে ঘুমান। ঈশ্বরের উপাসনায় বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেন।তাদের মধ্যে এমন একটি রহস্যময় জ্ঞান বা ক্ষমতা থাকে, সঙ্গীদের পাঠানো বার্তা গ্রহণ করতে পারেন তাঁরা।