Skin Care Tips: গরম পড়লেই কেন বাড়ে ব্রণর সমস্যা? কী করে তাকে বাগে আনবেন?

Skin Care Tips: অতিরিক্ত ঘাম ও তেল জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। সঙ্গে আছে ধুলাবালি ও ব্যাকটেরিয়া জমে হওয়া সংক্রমণ। গরমে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে সেবাম উৎপাদনও বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় ভুল কসমেটিকস বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেও ব্রণ হতে পারে।

Skin Care Tips: গরম পড়লেই কেন বাড়ে ব্রণর সমস্যা? কী করে তাকে বাগে আনবেন?

May 17, 2025 | 3:50 PM

অনেকের গরমকালে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়। বিশেষ করে ত্বক তৈলাক্ত হলে তো কথাই নেই। অতিরিক্ত গরমে ঘাম এবং ধুলাবালির কারণে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায় এবং তেলগ্রন্থি অতিরিক্ত সেবাম (তেল) নিঃসরণ করে। ফলে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের মতো সমস্যা দেখা দেয়। তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে গরমকালেও পরিষ্কার ও ব্রণমুক্ত ত্বক বজায় রাখা সম্ভব।

গরমে ব্রণ কেন হয়?

অতিরিক্ত ঘাম ও তেল জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। সঙ্গে আছে ধুলাবালি ও ব্যাকটেরিয়া জমে হওয়া সংক্রমণ। গরমে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে সেবাম উৎপাদনও বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় ভুল কসমেটিকস বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেও ব্রণ হতে পারে।

ব্রণ থেকে মুক্তির কী?

১। ত্বক পরিষ্কার রাখুন। দিনে ২ বার হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ভাল অভ্যাস।

২। অয়েল-ফ্রি ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। যেমন ধরুন স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা টি ট্রি অয়েলযুক্ত ফেসওয়াশ।

৩। অনেকে মনে করেন তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার দরকার নেই, কিন্তু এটি ভুল। অয়েল-ফ্রি, জেল-বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।

৪। অয়েল-ফ্রি এবং নন-কমেডোজেনিক (লোমকূপ বন্ধ না করে এমন) সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। রোদে বের হওয়ার ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে তারপর বেরোতে হবে।

৫। ঘাম জমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা মুছে ফেলুন। পরিষ্কার টিস্যু বা তোয়ালে দিয়ে ঘাম মুছুন। ঘাম শুকিয়ে বসে গেলে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যেতে পারে।

৬। তৈলাক্ত চুল থেকেও মুখে ব্রণ হতে পারে, তাই নিয়মিত চুল ধুয়ে পরিষ্কার রাখুন। চুলের তেল যেন মুখে না লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

৭। টি ট্রি অয়েল, অ্যালোভেরা জেল বা বেসন ও দইয়ের মতো ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করুন। এতে ত্বক ঠান্ডা থাকে এবং ব্রণের লালচে ভাব কমে। ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

৮। খাবারের বিষয়েও সচেতন হতে হবে। তেল, ঝাল, ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার খাওয়া কমাতে হবে। প্রচুর জল পান করতে হবে।