Marriage: ভারতের বেশিরভাগ অভিভাবক সন্তানের অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে না বলছেন!
Marriage Reasons and Facts: যে কারণে, বাড়িতে না জানিয়ে বিয়ে করার ঘটনাও কম নয়। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজটাকেই যেন সঠিক পদ্ধতি মনে করা হত। পরিবারের সম্মান এবং ঐতিহ্যের জন্যও যেন জরুরি ছিল। সেই ধারনা কি বদলাচ্ছে?

বাড়ি থেকে দেখাশোনা। আত্মীয়স্বজনদের থেকে খোঁজ। ঘটক থেকে ‘আধুনিক’ পন্থা, ম্যাট্রিমনি সাইট। এরপর নানা শর্ত মিলিয়ে দেখা, কুষ্ঠিবিচার, গ্রহ নক্ষত্র মেলানো। ভারতীয় অভিভাবকদের মধ্যে বিয়ের ক্ষেত্রে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজেই বেশি ঝুঁকে থাকতে দেখা যেত। অনেক পরিবারে লাভ-ম্যারেজ যেন অপরাধ। যে কারণে, বাড়িতে না জানিয়ে বিয়ে করার ঘটনাও কম নয়। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজটাকেই যেন সঠিক পদ্ধতি মনে করা হত। পরিবারের সম্মান এবং ঐতিহ্যের জন্যও যেন জরুরি ছিল। সেই ধারনা কি বদলাচ্ছে? পরিস্থিতি যেন তাই বলছে।
এসব যেন অতীত। এখন বিয়ের সিদ্ধান্ত হয় ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে! অভিভাবকরাও যেন এর পক্ষে। যেখানে ছেলে-মেয়েরা নিজেদের নানা পছন্দ, অপছন্দ জেনে নিচ্ছেন। আর এই বিষয়টাতেই যেন স্বচ্ছন্দ অভিভাবকরা। সঙ্গী বাছার ক্ষেত্রে এই পন্থাই কি এখন ট্রেন্ডিং? তথ্য বলছে, বিয়ের পর নানা সমস্যার আশঙ্কা থেকেই যেন শিক্ষা নেওয়া। বিয়ে এবং সঙ্গী বাছার সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সন্তানদের উপরই!
ভারতে ডিভোর্সের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শুধু ভারতের নয় বরং বলা ভালো, সারা বিশ্বের মতো এ দেশেও ডিভোর্সের সংখ্যা বাড়ছে। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজকে এর অন্যতম কারণ মনে করা হয়। লাভ ম্যারেজে কি ডিভোর্স হয় না? তুলনামূলক কম। দীর্ঘ মেলামেশায় পরস্পরকে অনেক বেশি চেনা-জানার সুযোগ থাকে, যা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে তুলনামূলক কম। ফলে ঐতিহ্য নয়, বরং মনের মিল কতটা হচ্ছে, ভালোবাসা থাকছে কি না, এসবই যেন বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আদতে সংসার করার ক্ষেত্রে সবদিক থেকেই বোঝাপড়া থাকা জরুরি। আর এই কারণেই অভিভাবকরা যেন লাভ ম্যারেজের পক্ষেই ঝুঁকে।





