সারা দেশে হইচই ফেলে দেওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটেছে পতৌদি পরিবারে। বলিউড তারকা সইফ আলি খানের উপর দুষ্কৃতী হামলা হয়েছে। তাঁর বাড়িতেই ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে সইফকে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন সইফ। সেই ঘটনা নিয়ে যেমন নানা আলোচনা, তেমনই উঠে আসছে তাঁর জীবন নিয়ে অনেক তথ্যই। তেমনই কিছু প্রশ্নও। সইফ আলি খানের বাবা এবং ঠাকুর্দা, দু-জনই ছিলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাবা মনসুর আলি খান পতৌদি দেশের কনিষ্ঠতম ক্যাপ্টেনও ছিলেন। সইফের মা শর্মিলা ঠাকুরকে কে না চেনেন। সইফ আলি খান কেন ক্রিকেট নয় বরং বেছে নিয়েছিলেন মায়ের পথ?
সইফ আলি খানের জীবনের অন্যতম দিক ক্রিকেট। প্রথমে বলা যাক ইফতিকার আলি খান পতৌদির কথা। তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ইংল্যান্ডের হয়ে। তৎকালীন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ডগলাস জার্ডিনের ‘বডিলাইন’ পরিকল্পনা পছন্দ হয়নি। সরাসরি বিরোধিতা করেছিলেন। কিংবদন্তি স্যর ডন ব্র্যাডম্যানের বিরুদ্ধেও খেলেছেন। পরবর্তীতে ভারতের হয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও খেলেছেন। ভারতকে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন। আর মনসুর আলি খান পতৌদি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের মাঝপথে হঠাৎই ভারতীয় দলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল। দেশের কনিষ্ঠতম ক্যাপ্টেন। শুধু তাই নয়, একটি চোখ খারাপ হয়ে যাওয়ার পরও ক্রিকেট ছাড়েননি। এক চোখেই বিশ্ব মাতিয়েছেন। নবাব মনসুর আলি খান পতৌদির ব্যাটিং, ক্যাপ্টেন্সির পাশাপাশি ফিল্ডিং অন্যতম আলোচনার বিষয়। দেশের বাইরে লড়াইয়ের রাস্তা দেখিয়েছিলেন কিংবদন্তি টাইগার পতৌদি।
কিংবদন্তি মনসুর আলি খান-পুত্র সইফও হয়তো ক্রিকেটারই হতেন। ক্রিকেট খেলেছেনও। কিন্তু ক্রিকেট কেরিয়ার এগোয়নি। বরং মায়ের মতো অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। এই প্রসঙ্গে সইফ একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ক্রিকেট আমার রক্তে। বাড়িতে ক্রিকেটকে একটা ধর্ম হিসেবে দেখা হত। শুধু আমার বাবাই নন, ঠাকুর্দাও ভারতের হয়ে খেলেছেন। এমনকি ইংল্যান্ডের হয়েও। তেমনই ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যানের বিরুদ্ধে খেলেছেন।’
নিজের ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়ে সইফ বলেছিলেন, ‘আমিও ক্রিকেট খেলেছি। তবে এই খেলাটা প্রচণ্ড মানসিক চাপের। ধৈর্য এবং সময়ের প্রয়োজন। আমার মধ্যে দুটোরই অভাব ছিল। সে কারণেই আমার ক্রিকেট কেরিয়ার দীর্ঘ হয়নি। কিংবা বলা ভালো, ক্রিকেট কেরিয়ার শুরুর আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।’ কিংবদন্তি মনসুর আলি খান পতৌদি দেশের হয়ে ৪৬টি টেস্ট খেলেছেন। ৮৩ ইনিংসে প্রায় ৩৫ গড়ে করেছেন ২৭৯৩ রান। ১৫টি হাফসেঞ্চুরি এবং ছ’টি সেঞ্চুরি। দেশকে ৪০ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন।