
চুল কেবল সৌন্দর্য্যের প্রতীক নয়। আমাদের ব্যক্তিত্বের একটি বড় অংশ। তাই চুলকে সুন্দর, মসৃণ রাখার জন্য বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারের পরও অনেক সময় চুলে জট, রুক্ষতা, ফ্রিজ বা ভাঙন সমস্যা থেকে যায়। ঠিক এখানেই কাজ করে হেয়ার সেরাম। এটি মূলত এক ধরনের লিকুইড প্রোডাক্ট, যা চুলের উপর একটি প্রটেক্টিভ কোট তৈরি করে। কিন্তু অনেকেই সেরাম লাগাতে কুন্ঠা বোধ করেন। কেন সেরাম লাগানো প্রয়োজন?
চুলকে মসৃণ ও ঝলমলে করে – সেরামে থাকে সিলিকন ও পুষ্টিকর তেল, যা চুলের কিউটিকল মসৃণ করে দেয়। এর ফলে চুল দেখতে হয় সিল্কি ও শাইনিং। সেরাম না লাগালে চুলের কিউটিকল রুক্ষ থেকে যায়। ফলে চুল দেখতে শুষ্ক, প্রাণহীন ও নিষ্প্রভ লাগে।
ফ্রিজ ও জট কমায় – অনেকের চুলই আর্দ্রতা বা হাওয়ার কারণে ফ্রিজি হয়ে যায়। সেরাম চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং চুলের জট সহজে ছাড়াতে সাহায্য করে। সেরাম ছাড়া চুল সহজেই ফ্রিজি হয়ে যায়, বিশেষ করে আর্দ্র আবহাওয়ায়। এতে চুল আঁচড়াতে কষ্ট হয় এবং চুল বেশি ভেঙে যায়।
চুল ভাঙা থেকে রক্ষা করে – সেরাম চুলের ডগাকে প্রটেক্ট করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে স্প্লিট এন্ডস বা চুলের আগা ফাটার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়। সেরাম চুলের ডগাকে প্রোটেক্ট না করলে স্প্লিট এন্ডসের সমস্যা দ্রুত বাড়তে পারে, ফলে চুল ছোট হয়ে যায় ও স্বাস্থ্য নষ্ট হয়।
সূর্য ও দূষণ থেকে সুরক্ষা দেয় – প্রতিদিনের ধুলো, ময়লা ও রোদ চুলের ক্ষতি করে। সেরাম চুলের ওপর এক ধরনের প্রতিরোধক স্তর তৈরি করে, যা এই ক্ষতি অনেকটা প্রতিরোধ করতে পারে। বাইরে বের হলে চুলে ধুলো-ময়লা জমে, সূর্যের তাপে চুল দুর্বল হয়। সেরাম না থাকলে এই ক্ষতি রোধ হয় না, এবং চুল সহজেই ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।
হিট প্রোটেকশন দেয় – আজকাল অনেকেই হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার বা কার্লার ব্যবহার করেন। এগুলো চুসেরাম চুলকে মসৃণ ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য করে তোলে। না লাগালে চুল সহজে স্টাইল নেয় না এবং হেয়ারস্টাইল দীর্ঘস্থায়ী হয় না। চুলকে শুষ্ক ও ভঙ্গুর করে দেয়। হিট প্রোটেকশন সমৃদ্ধ সেরাম ব্যবহার করলে এই ক্ষতি অনেক কম হয়।