
শীতের (Winter) সময় চুলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল আর্দ্রতার ঘাটতি। ঠান্ডা হাওয়া আর শুষ্ক বাতাস চুলের প্রাকৃতিক তেল কমিয়ে দেয়, ফলে চুল ফ্রিজি হয়ে যায়, স্ক্যাল্পে খুশকি বাড়ে এবং চুলের ডগা ফেটে যায়। ঠিক এই কারণেই প্রতি বছর শীত এলেই জনপ্রিয় হয় কিছু বিশেষ হেয়ার কেয়ার ট্রেন্ড (Hair Care Trend), যা চুলকে নরম, মসৃণ ও স্বাস্থ্যকর রাখে।
এ বার শীতে স্ক্যাল্প কেয়ারের দিকে বেশি নজর। টি ট্রি অয়েল, অ্যাপল সিডার ভিনিগার বা অ্যালোভেরা স্ক্যাল্পকে পরিষ্কার ও রিলিফ দেয়, খুশকি কমায় এবং শুষ্ক মাথার ত্বককে শান্ত করে।
নারকেল, তিল বা বাদাম তেল সামান্য গরম করে সপ্তাহে ১–২ বার মালিশ করলে চুলে ফিরে আসে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। এটি চুলের শুষ্কতা কমায় এবং ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
শীতে লিভ-ইন কন্ডিশনার বা ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক খুব প্রয়োজনীয়। এগুলো চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ড্যামেজ রোধ করে। শিয়া বাটার, আর্গান অয়েল বা কেরাটিন–সমৃদ্ধ কন্ডিশনার সবথেকে কার্যকর।
রুক্ষ আবহাওয়ায় বেশি কেমিক্যাল-যুক্ত শ্যাম্পু চুল আরও বেশি শুকিয়ে দেয়। তাই এখন সালফেট-ফ্রি বা মাইল্ড শ্যাম্পুর দিকে ঝুঁকছেন অনেকে।
চুলকে মসৃণ রাখতে, বিশেষ করে শ্যাম্পুর পর, ভিটামিন ই বা স্কোয়ালেন–সমৃদ্ধ হাইড্রেটিং সিরাম ট্রেন্ডিংয়ে। এটি চুলে শাইন আনে এবং সারাদিন ফ্রিজ কমায়।
হালকা স্ক্রাব বা স্ক্যাল্প ব্রাশ দিয়ে সপ্তাহে একবার মাথার ত্বক পরিষ্কার করলে খুশকি কমে এবং চুলের গোড়া বাতাস পায়। এই ট্রেন্ডটি এ বছর বিশেষ জনপ্রিয়।
শীতকালে হেয়ার ড্রায়ার বা স্ট্রেটনার চুলকে আরও বেশি শুকনো করে। তাই অনেকেই চেষ্টা করছেন ‘নো হিট স্টাইলিং’—যেমন ন্যাচারাল কার্লস বা ব্রেডেড ওয়েভ লুক।
শীতে ঘুমের সময় ঘর্ষণে চুল ভাঙার প্রবণতা বাড়ে। তাই সিল্ক পিলোকেস বা সিল্ক স্কার্ফ ব্যবহার করা এখন বড় ট্রেন্ড।
ওমেগা-৩, বাদাম, ডিম, মেথি, গুড় পুষ্টিকর খাবার যোগ করলে চুল থাকে শক্ত, ঘন ও ঝলমলে। শীতকালের ‘ইনার হেয়ার কেয়ার’ ট্রেন্ড এখন খুব জনপ্রিয়।
শীতে চুলের যত্ন মানে শুধু তেল বা শ্যাম্পু নয়, বরং একটি ব্যালান্সড রুটিন, যেখানে স্ক্যাল্প কেয়ার, সঠিক ময়েশ্চারাইজিং এবং কোমল পরিষ্কারক বেছে নেওয়াই মূল চাবিকাঠি। এ বার শীতেও চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও স্বাস্থ্যকর সারা মরসুম জুড়ে।