
শীত (Winter) পড়লেই ত্বকের সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ডিহাইড্রেশন। ঠান্ডা হাওয়ায় ত্বক থেকে দ্রুত জলশূন্যতা হয়, ফলে মুখে টান পড়ে, রুক্ষতা বাড়ে, অনেকের ক্ষেত্রে পিগমেন্টেশনও স্পষ্ট হয়। ঠিক এই সময়েই প্রয়োজন একটু আলাদা স্কিনকেয়ার রুটিন। যা ত্বককে ভেতর থেকে আর্দ্র রাখবে, উজ্জ্বলতা ফেরাবে এবং সারা দিন নরম–মসৃণ রাখবে।
শীতকালে ত্বক দ্রুত শুকিয়ে যায়, তাই খুব বেশি স্ট্রিপিং ক্লিনজার নয়। হালকা ফোমিং বা ক্রিম-বেসড ক্লিনজার ব্যবহার করুন, যাতে ত্বক তার প্রাকৃতিক তেল হারায় না।
অ্যালকোহল–ফ্রি হাইড্রেটিং টোনার বা রাইস–ওয়াটার এসেন্স শীতে দারুণ কাজ করে। এগুলো ত্বকের ওপর আর্দ্রতার এক স্তর তৈরি করে, যা পরবর্তী স্কিনকেয়ারের জন্য বেস তৈরি করে।
এই মরসুমের সবচেয়ে জরুরি উপাদান। এটি ত্বকের গভীরে জল ধরে রাখে, ফাইন লাইন কমায় এবং ত্বককে প্লাম্প রাখে। টোনারের পর কয়েক ফোঁটা লাগালেই পুরো দিন ত্বক সজীব থাকে।
শীতকালে মুখে নিস্তেজতা বেড়ে যায়। ভিটামিন–সি সিরাম ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে, দাগ কমায় এবং কোলাজেন বুস্ট করে। সকালে এটি ব্যবহার করলে সারাদিন গ্লো টিকে থাকে।
আর্গান অয়েল, রোজহিপ অয়েল বা স্কোয়ালেন অয়েল—শীতকালে ত্বকের জন্য স্বপ্নের মতো কাজ করে। ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে মিশিয়ে বা আলাদাভাবে লাগালে ত্বক নরম থাকে এবং রুক্ষ ভাব কমে।
শীতে জেল-ক্রিম নয়, বরং ক্রিমি বা বাটার-বেসড ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। এতে থাকে সেরামাইডস, শিয়া বাটার বা গ্লিসারিন, যা ত্বকের আর্দ্রতা দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখে।
অনেকে ভাবেন, শীতে রোদ কম, তাই সানস্ক্রিন প্রয়োজন নেই। আসলে ইউভি রশ্মি কমে না, তাই SPF 30 বা 50 নিয়মিত লাগানো জরুরি।
অ্যালোভেরা, মধু বা হায়ালুরনিক অ্যাসিড–সমৃদ্ধ শিট মাস্ক—সবই শীতকালে ত্বককে দ্রুত হাইড্রেট করে।
শীতকালে জল খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। তাই বেশি করে জল খাওয়া, ভিটামিন–সমৃদ্ধ ফল খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুম—ত্বককে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে।
শীতকালে ত্বকের যত্ন মানেই বেশি জটিলতা নয়। শুধু সঠিক উপাদান বেছে সঠিক সময়ে ব্যবহার করলেই ত্বক সারা মরসুম থাকবে নরম, উজ্জ্বল ও সুস্থ। ঠান্ডা হাওয়ার মধ্যেও স্কিন বুস্টার রুটিন আপনার ত্বককে দিবে প্রাকৃতিক দীপ্তি।