ফর্ম ১৬ ছাড়া কীভাবে জমা দেবেন আয়কর?

সুমন মহাপাত্র |

Nov 30, 2020 | 7:17 AM

১৬ নম্বর ফর্মে আপনার বার্ষিক পেতন, টিডিএস ও আয়কর জমা দেওয়ার পরিমাণ লেখা থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি কীভাবে জানবেন আপনাকে কত আয়কর জমা দিতে হবে?

ফর্ম ১৬ ছাড়া কীভাবে জমা দেবেন আয়কর?
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

TV9 বাংলা ডিজিটাল: ফর্ম ১৬ ছাড়া আয়কর (Income tax) জমা দেওয়ার উপায় অনেকেরই অজানা। তবে ১৬ নম্বর ফর্ম ছাড়াও আয়কর জমা দেওয়া সম্ভব। ১৬ নম্বর ফর্মে আপনার বার্ষিক পেতন, টিডিএস ও আয়কর জমা দেওয়ার পরিমাণ লেখা থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি কীভাবে জানবেন আপনাকে কত আয়কর জমা দিতে হবে? কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে এ বিষয়েও জানা সম্ভব।

প্রথম ধাপ: বেতন থেকে আপনার সম্পূর্ণ আয়ের হিসাব বার করুন। এক্ষেত্রে কোম্পানির দেওয়া স্যালারি স্লিপ (Salary slip) থেকে আপনি সহজেই আফনার বার্ষিক আয় জানতে পারবেন। আপনার স্যালারি স্লিপেই ‘গ্রস স্যালারি’, ধারা দশের ‘অ্যালাওয়েন্স’ ছাড়াও বিভিন্ন অ্যালাওয়েন্সের উল্লেখ থাকে। যদি কোনও ক্ষেত্রে আপনার স্যালারি স্লিপে এগুলি না থেকে থাকে তাহলে কোম্পানির কাছ থেকে ১২বিএ ফর্ম নিলে এগুলি পেয়ে যাবেন। পিএফ ও টিডিএস আপনার স্যালারি স্লিপেই থাকবে। এভাবে আপনার বার্ষিক সম্পূর্ণ আয়ের হিসাব বার করন।

দ্বিতীয় ধাপ: আপনার বার্ষিক টিডিএস ফর্ম ২৬এএসের টিডিএসের সঙ্গে মিলিয়ে নিন। যদি কোনও ক্ষেত্রে টিডিএসে গরমিল দেখা যায়, তাহলে এই সমস্যার সমাধান আগে করুন।

তৃতীয় ধাপ: আপনার বাস ভবন থেকে যদি আপনি বাড়তি কোনও টাকা রোজগার করছেন তাহলে তার হিসাব একত্রিত করুন। কিংবা আপনি যদি কোনও গৃহঋণ নিয়েছেন তাহলে আপনার আয়কর থেকে ছাড় জোগাড় করন।

চতূর্থ ধাপ: যদি আপনি মিউচুয়াল ফান্ডস কিংবা অন্য় কোনও ভাবে মূলধনের মাধ্যমে টাকা রোজগার করছেন। সেক্ষেত্রে তার হিসাব সংগ্রহ করন। তবে এক্ষেত্রে বিশেষ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যদি শেয়ার বা ইকুয়িটি মিউচুয়াল ফান্ডস বিক্রি করে থাকেন ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে তাহলে আপনি আইটিআর-১ এর মাধ্যমে আয়কর জমা করতে পরবেন না। যদি আপনার কাছে তালিকা বহির্ভূক্ত কোনও শেয়ার থেকে থাকে তাহলেও আপনি এই পদ্ধতিতে আয়কর জমা করতে পারবেন না। যদি আপনার মালিকানায় একটির বেশি বাড়ি থাকে সেক্ষেত্রেও আপনার জন্য এই পদ্ধতি প্রযোজ্য নয়।

পঞ্চম ধাপ: অন্য কোনও উৎস থেকে যদি আপনি রোজগার করছেন (যেমন ফিক্সড ডিপোজিট বা সেভিংস) তার হিসাব বার করুন।

ষষ্ঠ ধাপ: যেসব দিক থেকে আয়করে ছাড় পেতে পারেন(যেমন- জীবন বিমা, ইকুইটি যুক্ত স্কিম ইত্যাদি) সেগুলিকে একত্রিত করুন।

সপ্তম ধাপ: এবার আপনার মোট আয় থেকে ছাড়গুলি বাদ দিন। যে অঙ্ক দাঁড়াল তার উপরই নির্ধারিত হবে আপনার আয়করের পরিমাণ।

অষ্টম ধাপ: এবার আপনার নির্ধারিত আয়ের ভিত্তিতে আপনার আয়করের হিসাব বার করন। সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন অনলাইন ক্যালকুলেটরের সাহায্য নিতে পারেন।

নবম ধাপ: যদি আপনার কর ২৬এএস ফর্মের থেকে বেশি হয়। তাহলে সেই অতিরিক্ত কর জমা করুন।

দশম ধাপ: এরপর নির্ধারিত আয়করের অঙ্ক দিয়ে আয়কর (Income tax) জমা দিন।

Next Article