সুনামি, বিধ্বংসী দাবানল, মারণ ভাইরাসের অতিমারি, আমেরিকার ৯১১ হামলা থেকে শুরু করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলি গণনা করে গিয়েছেন অনেক আগেই। আর সেগুলি যে সব কটিই ফলে গিয়েছে, তার প্রমাণ মানুষ হাতেনাতে পেয়ে গিয়েছেন।
১. এশিয়া মহাদেশের অধিকাংশ দেশ, অস্ট্রেলিয়ায় ২০২২ সালে ভয়ংকর বন্যা দেখা দেবে। যে বন্যায় বহু মানুষের প্রাণহানি হতে পারে।
২. পৃথিবীর দিকে তেড়ে আসতে পারে অন্যগ্রহের প্রাণীরা। শহরে শহরে বোমা ফেলে মানুষজনকে তুলে নিয়ে যেতে পারে। ২০৩৩ থেকে ২০৪৫ সালের মধ্যে পোলার আইস ক্যাপ গলে জল হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে চারগুণ হয়ে যাবে এই সময়।
৩. করোনা অতিমারির পর ফের একবার প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যাবে। সাইবেরিয়ায় এক দল গবেষকরা সেই ভাইরাস আবিষ্কার করবেন। সঙ্গে উদ্বেগের সঙ্গে বাড়তে থাকবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং। এই ভাইরাসে সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে ও তা অনিয়ন্ত্রিত।
৪. জলকষ্টের সমস্যায় সারাবিশ্ব জর্জরিত হবে এই সময়। বাড়বে জনসংখ্যা, সঙ্গে নদীর জল দূষিত হওয়ায় জলের জন্য হাহাকার পড়ে যাবে সর্বত্র।
৫. মঙ্গল অভিযান সফলের পিছনে যে তোড়জোড় চলছে. তা ২১৭০ থেকে ২২৫৬ সালের মধ্যে পৃথিবী সেই সাফল্যে চাক্ষুস করতে পারবে। এছাড়া মঙ্গল গ্রহে নিউক্লিয়ার পাওয়ার হদিস মিলতেই পৃথিবীর মতনই এই লালগ্রহেও বসবাসযোগ্য কলোনি তৈরি করতে সক্ষম হবে পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা।
৬. ভারতের কৃষিজমিতে বড় বড় পোকা বা পঙ্গপাল আঘাত হানবে। তার কারণ হল দেশের তাপমাত্রার বৃদ্ধি পাওয়া। প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পারদ চড়তে পারে বলে গণনা করেছেন তিনি।
৭. বাবা ভাঙ্গার অদ্ভূত গণনার মধ্যে এটি অন্যতম। কারণ তিনি জানিয়েছিলেন যে ২০২১ সালের পর পৃথিবীতে রাজ করবে হিংস্র ড্রাগন। তিনি দাবি করেছেন, একটি শক্তিশালী ড্রাগন মানবিকতাকে ভেঙ্গে দিতে পারে। একসঙ্গে তিনটি ড্রাগন জো়ড়ো হয়ে একত্রিত হবে।
৮. করোনা লকডাউনে ভার্চুয়ালি রিয়ালিটি কথাটার সঙ্গে পরিচয় ঘটে গিয়েছে। বাবা ভাঙ্গার কথায়, টেকনোলজির উপর নেশার মত আচরণ প্রবলভাবে দেখা যাবে। এমনকি মানুষ বাস্তব ও স্বপ্নের দুনিয়াতে বাস করলেও কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।
৯. সারা বিশ্বে তীব্র দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে আগামী বছর। জলবায়ু পরিবর্তনের তারতম্যের কারণে এই দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রাকৃতিক ঘটনার প্রভাবে মানুষ গাছের শিকড়, মাটি, গাছের কাঁচা পাতা খেয়ে জীবনধারণ করে বেঁচে থাকতে হতে পারে।
১০. গবেষকরা দ্রুত একটি মারাত্মক ভাইরাসের উপস্থিতি আবিষ্কার করতে পারবেন। সেই মারণ ভাইরাস সারা পৃথিবীর কাছে ভয়ংকরভাবে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাবে। এমনকি হাজার হাজার মানুষ ও প্রাণীর মৃত্যু হতে পারে।